১১৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নাত ও এর ফযীলত

১১৮৩-[২৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের সালাতের শেষে (সুন্নাতের) দু’ রাক্’আত সালাতে এত বড় ক্বিরাআত (কিরআত) পড়তেন যে, লোকেরা তাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে (বাড়ী) চলে যেতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُطِيلُ الْقِرَاءَةَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ حَتَّى يَتَفَرَّقَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابن عباس قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يطيل القراءة في الركعتين بعد المغرب حتى يتفرق اهل المسجد. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (يُطِيلُ الْقِرَاءَةَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের ফরয সালাতের পর দু’ রাক্‘আত সালাতে ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘ করতেন। অর্থাৎ কখনো কখনো এরূপ করতেন। কেননা ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ সালাতে সূরাহ্ কাফিরূন ও সূরাহ্ ইখলাস পাঠ করতেন। অতএব বুঝা গেল যে, এ দীর্ঘ করা সার্বক্ষণিক নয়।

(حَتّى يَتَفَرَّقَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ) এমনকি মসজিদের লোকজন তাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে চলে যেতেন। এতে বুঝা যায় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাত মসজিদেও আদায় করতেন। অর্থাৎ এ সালাত মসজিদে আদায় করাও বৈধতা বুঝানোর জন্য তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো কখনো এ সালাত মসজিদেই আদায় করতেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)