১১৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দু’বার সালাত আদায় করা

১১৫৩-[৪] বুসর ইবনু মিহজান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি (তার পিতা মিহজান) এক সভায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন। এমন সময় আযান হয়ে গেল। তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্যে দাঁড়িয়ে গেলেন ও সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষ করে ফিরে আসলেন। দেখলেন মিহজান তার স্থানে বসে আছে। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন। মানুষের সঙ্গে (জামা’আতে) সালাত আদায় করতে তোমাকে কোন জিনিস নিষেধ করেছিল? তুমি কি মুসলিম না। মিহজান বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! আমি মুসলিম। কিন্তু আমি আমার পরিবারের সঙ্গে সালাত আদায় করে এসেছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তোমার বাড়িতে সালাত আদায় করে আসার পরে মসজিদে এসে সালাত হচ্ছে দেখলে লোকদের সঙ্গে (জামা’আতে) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে তুমি (এর পূর্বে) সালাত আদায় করে থাকলেও। (মালিক, নাসায়ী)[1]

وَعَن بسر بن محجن عَن أَبِيه أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُذِّنَ بِالصَّلَاةِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى وَرَجَعَ وَمِحْجَنٌ فِي مَجْلِسِهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ؟ أَلَسْتَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ؟» فَقَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَكِنِّي كُنْتُ قَدْ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جِئْتَ الْمَسْجِدَ وَكُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ» . رَوَاهُ مَالك وَالنَّسَائِيّ

وعن بسر بن محجن عن ابيه انه كان في مجلس مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذن بالصلاة فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى ورجع ومحجن في مجلسه فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما منعك ان تصلي مع الناس؟ الست برجل مسلم؟» فقال: بلى يا رسول الله ولكني كنت قد صليت في اهلي فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا جىت المسجد وكنت قد صليت فاقيمت الصلاة فصل مع الناس وان كنت قد صليت» . رواه مالك والنساىي

ব্যাখ্যা: (مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ؟) ‘‘লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে তোমাকে কিসে বাধা দিলো।’’ অর্থাৎ আমার সাথে যে মুসলিম জামা‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলো তুমি তাদের সাথে সালাত আদায় করলে না কেন? এর কারণ কি?

(أَلَسْتَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ؟) ‘‘তুমি কি মুসলিম নও?’’ বাজীরা বলেনঃ এখানে হামযাহ্ অব্যয়টি প্রশ্নবোধক হতে পারে। আবার তাওবীখ তথা ভৎর্সনা ও ধমকের জন্যও হতে পারে। আর সর্বশেষটিই প্রকাশমান। এতে এটা বুঝা যায় না যে, কোন মুসলিম জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় না করলেই সে অমুসলিম।

(فَقَالَ: بَلى يَا رَسُولَ اللّهِ) ‘‘সে বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল!’’ আমি প্রকৃতপক্ষেই একজন মুসলিম। (وَلَكِنِّي كُنْتُ قَدْ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي) ‘‘তবে আমি তো আমার আহলে তথা বাড়ীতে সালাত আদায় করেছি। বাড়ীতে আদায় করা সালাতকে যথেষ্ট মনে করে পুনরায় সালাত আদায় করিনি।

(فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ) ‘‘সালাত আদায় করে থাকলেও তুমিই লোকদের সাথে পুনরায় সালাত আদায় করবে’’। অর্থাৎ বাড়ীতে সালাত আদায় করার পর মসজিদে এসে লোকজনদেরকে সালাতরত পেলে তাদের সাথে পুনরায় সালাত আদায় করবে।

হাদীসের শিক্ষাঃ কোন ব্যক্তি বাড়ীতে একাকী অথবা জামা‘আতে সালাত আদায় করার পর মসজিদে এসে ইমামকে সালাতরত পেলে অথবা তার আগমনের পর ইমাম সালাতরত হলে সে ব্যক্তি ইমামের সাথে পুনরায় সালাত আদায় করবে। তা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের যে কোন সালাতই হোক না কেন। তার প্রথম আদায়কৃত সালাত ফরয সালাত হিসেবে গণ্য হবে। আর পরের সালাতটি নফল সালাত হিসেবে হিসেবে গণ্য হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)