১১৫০

পরিচ্ছেদঃ ২৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’বার সালাত আদায় করা

১১৫০-[১] জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। এরপর নিজের গোত্রে এসে তাদের সালাত আদায় করাতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ مَنْ صَلّى صَلَاةً مَرَّتَيْنِ

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كَانَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَأْتِي قومه فَيصَلي بهم

عن جابر قال: كان معاذ بن جبل يصلي مع النبي صلى الله عليه وسلم ثم ياتي قومه فيصلي بهم

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায়, নফল আদায়কারীর পেছেনে ফরয আদায়কারীদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় বৈধ। যেমনটা মত পোষণ করেছেন ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) ও ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) যদিও ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) ভিন্ন মত পোষণ করেছেন এবং হানাফীরা বলে থাকেন এ হাদীস থেকে উক্ত মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ফরয আর নিজ গোত্রের সাথে যেটি পড়েছেন সেটি নফল হিসেবে আদায় করেছেন এটা বুঝা যায় না। বরং এটা বুঝা যায় যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যে সালাত পড়েছিলেন সেটি তিনি নফল এবং নিজ সম্প্রদায়ের সাথে আদায় করা সালাতকে ফরয হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

হানাফীদের এ কথার উত্তর এভাবে দেয়া যায় যে, মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) প্রথম সালাতটি পড়েছিলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে। যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ইমাম তারই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নাবাবীতে যেটা মসজিদে হারামের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ মাসজিদ এবং দ্বিতীয় সালাতটি পড়েছেন নিজ সম্প্রদায়ের মসজিদে যেখানে মসজিদে নাবাবীর ফাযীলাত নেই সুতরাং প্রথম সালাতটি ফরয সালাত আর দ্বিতীয় নফল হওয়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়া ফরয সালাত বাকী রেখে নফল কেন আদায় করবেন? সুতরাং প্রথম আদায়কৃত সালাতই ফরয এবং দ্বিতীয় সালাত তার জন্য নফল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। দ্বিতীয় সালাত যে নফল তা পরবর্তী হাদীসে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)