পরিচ্ছেদঃ ২৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইমামের দায়িত্ব
১১৩০-[২] আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আমি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আরম্ভ করলে তা লম্বা করার ইচ্ছা করি। কিন্তু যখনই (পেছন থেকে) শিশুদের কান্নার শব্দ শুনি, তখন আমার সালাতকে আমি সংক্ষেপ করি। কারণ তার কান্নায় তার মায়ের মনের উদ্বিগ্নতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়। (বুখারী)[1]
بَابُ مَا عَلَى الإِمَامِ
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَدْخُلُ فِي الصَّلَاةِ وَأَنَا أُرِيدُ إِطَالَتَهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ فِي صَلَاتِي مِمَّا أَعْلَمُ مِنْ شِدَّةِ وجد أمه من بكائه» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মহিলাগণ মসজিদে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে দলীল রয়েছে। ইমাম বুখারী হাদীসটিকে সঠিক আবূ ক্বাতাদাহ্ থেকে বর্ণনা করেছেন। কথাটিতে বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। কেননা লেখক যে বাচনভঙ্গিতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন তা আনাস (রাঃ)-এর হাদীস পূর্বে আমরা অতিবাহিত করেছি; আবূ ক্বাতাদাহ্-এর না। আবূ ক্বাতাদার হাদীস ইমাম বুখারী সহীহুল বুখারীর দু’ স্থানে উল্লেখ করেছেন।
প্রথমতঃ তিনি একে ‘‘ছোট বাচ্চার ক্রন্দনের মুহূর্তে অতি হালকা সালাত’’ অধ্যায়ে ‘‘নিশ্চয়ই সালাতে দাঁড়াই, সালাতে দীর্ঘ করার ইচ্ছা করি, অতঃপর বাচ্চার কান্না শুনতে পেয়ে মার উপর বিষয়টি কষ্টকর হওয়াকে অপছন্দ করে সালাতে হালকা করে থাকি’’- এ শব্দে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি একে জুমু‘আর পর্বের কিছু আগে মহিলাদের মসজিদে গমন অধ্যায়ে ‘‘নিশ্চয়ই আমি সালাতে দাঁড়াই অতঃপর তাতে দীর্ঘ করার ইচ্ছা করি’’- এ শব্দে উলেলখ করেছেন। বাকী অংশটুকু অনুরূপ।
এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, নিশ্চয়ই লেখক হাদীসের সংকলনস্থ বর্ণনা করতে ভুল করেছে অর্থাৎ কিতাবের বাচনভঙ্গি অনুযায়ী হাদীসটি যে বর্ণনা করেছেন সে সাহাবীর নাম উল্লেখকরণে। সুতরাং লেখকের জন্য এবং আবূ ক্বাতাদাহ্ হতে বর্ণিত আবূ ক্বাতাদাহ্ এর হাদীসের স্থানে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত বলা উচিত ছিল। হাদীসটি আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ এবং বায়হাক্বীও সংকলন করেছেন।