পরিচ্ছেদঃ ২৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১১৮-[২] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা যখন তিনজন হবে; সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার জন্যে একজনকে ইমাম বানাবে এবং ইমামতির জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত যে কুরআন সবচেয়ে ভাল পড়তে পারেন। (মুসলিম; মালিক ইবনু হুওয়াইরিস-এর হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে ’’আযানের মর্যাদা অধ্যায়’’-এর পর কোন এক অধ্যায়ের মধ্যে।)[1]
بَابُ الْإِمَامَةِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانُوا ثَلَاثَةً فليؤمهم أحدهم وأحقهم بِالْإِمَامِ أَقْرَؤُهُمْ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
وَذَكَرَ حَدِيثَ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ فِي بَابٍ بَعْدَ بَابِ «فَضْلِ الْأَذَانِ»
ব্যাখ্যা: ক্বারী (রহঃ) বলেন, অত্র হাদীসে (ثَلَاثَةً) থেকে দু’জন উদ্দেশ্য। যেমন পূর্ববর্তী হাদীস দ্বারা তা বুঝা যায়। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, এ হাদীসে সংখ্যার অর্থ বিবেচ্য নয়; আর তা বুঝা যাচ্ছে মালিক বিন হুয়াইরিসের হাদীস দ্বারা তাতে আছে- যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমরা দু’জনের একজন আযান দিবে এবং ইক্বামাত দিবে এবং তোমাদের দু’জনের মাঝে যে বড় সে ইমামতি করবে। এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ ও কুতুবে সিত্তার অন্যান্য ইমামগণ সংকলন করেছেন।
(فليؤمهم أحدهم) হাদীসে উল্লেখিত অংশ দ্বারা বুঝানো হয়েছে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির উপস্থিতিতে তার অপেক্ষা নিম্নমানের ব্যক্তির ইমামতি করা জায়িয আছে।
(وأحقهم بِالْإِمَامِ أَقْرَؤُهُمْ) এ অংশ দ্বারা বুঝা যায় যে, কুরআন পাঠে শ্রেয় তার ইমামতি সর্বোত্তম বা সে ইমামতির সর্বাধিক অধিকার রাখে। ইমাম মুসলিম এ হাদীসটি সংকলন করছেন। ইমাম আহমাদ ও নাসায়ীও একে সংকলন করেছেন এবং বায়হাক্বীও তৃতীয় খন্ড, ৮৯ ও ১১৯ পৃষ্ঠা। এ ব্যাপারে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত মুসনাদে আহমাদে একটি হাদীস আছে তৃতীয় খন্ড, ১৬৩ পৃষ্ঠা। হাদীসটি (يؤم القوم أقرؤهم للقرآن) শব্দ দ্বারা বর্ণিত। অর্থ সম্প্রদায়ের ইমামতি করবে তাদের মাঝে কুরআন পাঠে যে শ্রেয়।
হায়সামী (রহঃ) বলেছেন, এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারী। বায্যারে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক অনুরূপ হাদীস রয়েছে। হায়সামী (রহঃ) বলেছেন, এর সানাদে হাসান বিন ‘আলী আন নাওফালী আল হাসিমী রয়েছে। সে দুর্বল। বাযযার একে হাসান বলেছেন।
ত্ববারানীতে ইবনু ‘উমার (রাঃ) কর্তৃক (مَنْ أَمَّ قَوْمًا وَفِيْهِمْ مَنْ هُوَ أَقْرَأ َلِكِتَابِ اللهِ مِنْهُ، لَمْ يَزَلْ فِيْ سَفَالٍ إِلى يَوْمِ الْقِيَامَةِ) এ শব্দে হাদীস রয়েছে। অর্থ যে ব্যক্তি সম্প্রদায়ের ইমামতি করবে এমতাবস্থায় তাদের মাঝে তার অপেক্ষা আল্লাহর কিতাব পড়তে পারে এমন ব্যক্তি রয়েছে তাহলে কুরআন পাঠে নিম্ন ব্যক্তি ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) অবধি নিম্নে থাকবে। হায়সামী বলেছেন, এর সানাদে হায়সাম বিন ইক্বাব আছে।
আযদী (রহঃ) বলেন, তাকে চেনা যায় না। ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরশীল রাবীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মিশকাতে মালিক বিন হুওয়াইরিস-এর একটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে মাসাবীহ গ্রন্থে। হাদীসটি হল, মালিক-এর উক্তি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখ, সেভাবে সালাত আদায় কর। আর যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমাদের কেউ যেন তোমাদের জন্য আযান দেয়, অতঃপর বয়সে যে তোমাদের মাঝে বড় সে যেন তোমাদের ইমামতি করে আর এটা বুরআন পাঠ ও সুন্নাহ এর ‘ইলমের ক্ষেত্রে সমান হওয়ার ক্ষেত্রে। আবূ দাঊদ-এর এক বর্ণনাতে আছে ঐ দিন আমরা ‘ইল্মে পরস্পর কাছাকাছি ছিলাম।