১০৭৪

পরিচ্ছেদঃ ২৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জামা‘আত ও তার ফযীলত সম্পর্কে

১০৭৪-[২৩] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেনঃ তোমরা যখন মসজিদে থাকবে আর সে মুহূর্তে আযান দিলে তোমরা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করে মাসজিদ ত্যাগ করবে না। (আহমাদ)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كُنْتُمْ فِي الْمَسْجِدِ فَنُودِيَ بِالصَّلَاةِ فَلَا يَخْرُجْ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُصَلِّيَ. رَوَاهُ أَحْمد

وعنه قال: امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذا كنتم في المسجد فنودي بالصلاة فلا يخرج احدكم حتى يصلي. رواه احمد

ব্যাখ্যা: ‘‘যখন তোমরা মসজিদে থাক আর এমতাবস্থায় আযান দেয়া হয় তখন তোমাদের মধ্যকার কেউ যেন সালাত আদায় না করে মাসজিদ থেকে বেরিয়ে না যায়।’’

এ হাদীস প্রমাণ করে যে, আযান হওয়ার পরে মাসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বৈধ নয়। তবে সাধারণ হুকুমকে অন্য হাদীস দ্বারা বিশেষায়িত করা হয়েছে। বুখারীতে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে ‘‘ইক্বামাত হওয়ার পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় কক্ষ থেকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের উদ্দেশে বেরিয়ে এলেন। কাতার সোজা করার পর যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় মুসল্লাতে দাঁড়ালেন আর আমরা তার তাকবীরের অপেক্ষায়, তখন তিনি চলে গেলেন আর বললেনঃ তোমরা স্বীয় স্থানে অপেক্ষা করো। আমরা এ অবস্থায় অবস্থান করলাম। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফিরে এলেন, গোসল করার কারণে তাঁর মাথা থেকে পানি টপকাচ্ছিল।

এ হাদীস থেকে জানা যায়, আযান হওয়ার পরে মাসজিদ থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা তার জন্য প্রযোজ্য যার কোন প্রয়োজন নেই। তবে যার প্রয়োজন আছে, গোসল, উযূ (ওযু/ওজু/অজু), পায়খানা-পেশাবের চাপ ইত্যাদি যা দূর না করলে সালাত আদায় করা যায় না অথবা অন্য মসজিদের ইমাম এদের জন্য বের হওয়া বৈধ।

আর ওযর ব্যতীত সকল ‘আলিমদের মতে বের হয়ে যাওয়া মাকরূহ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)