১০৬৮

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামা‘আত ও তার ফযীলত সম্পর্কে

১০৬৮-[১৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক মুয়াযযিনের আযান শ্রবণ করল এবং আযান শেষে সালাতের জামা’আতে হাযির হতে তার কোন বাধা সৃষ্টিকারী ওযর না থাকে। লোকেরা প্রশ্ন করল, ওযর কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ভয় বা রোগ (জামা’আত ছেড়ে দেয়ায়) তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কবূল হবে না যা সে আদায় করেছে। (আবূ দাঊদ, দারাকুত্বনী)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «من سمع الْمُنَادِي فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنِ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ» قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ؟ قَالَ: «خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارَقُطْنِيّ

وعن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من سمع المنادي فلم يمنعه من اتباعه عذر» قالوا وما العذر؟ قال: «خوف او مرض لم تقبل منه الصلاة التي صلى» . رواه ابو داود والدارقطني

ব্যাখ্যা: (لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلّى) ‘‘তার সে সালাত কবূল হবে না যে সালাত সে আদায় করেছে। অর্থাৎ ফরয সালাতের আযান শ্রবণ করার পরও যে ব্যক্তি জামা‘আতে হাযির না হয়ে বাড়ীতেই সালাত আদায় করবে কোন ওযর অথবা অসুস্থতা ব্যতীত তার সে সালাত গ্রহণ করা হবে না। ইমাম নাবাবী বলেনঃ তার সালাত গ্রহণ করা হবে না এর অর্থ হলো এতে সে সাওয়াব পাবে না যদিও সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করার পাপ থেকে নিস্কৃতি পাবে। যদিও হাদীসটি জামা‘আতে সালাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার দলীল, কিন্তু এ হাদীসে আবূ জানাব ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবী হাইয়্যা আল কালবী নামক একজন রাবী আছেন তিনি দুর্বল এবং মুদাল্লিস। আর তিনি এটি (عنعن) ‘আন্‘আনা প্রকারে বর্ণনা করেছেন। অতএব হাদীসটি দুর্বল।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)