পরিচ্ছেদঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪৭-[৯] আবুল খলীল (রহঃ) আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠিক দুপুরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাকে মাকরূহ মনে করতেন, যে পর্যন্ত না সূর্য ঢলে যায়, একমাত্র জুমু’আর দিন ছাড়া। তিনি আরো বলেন, জুমু’আর দিন ব্যতীত প্রতিদিন দুপুরে জাহান্নামকে গরম করা হয়। [আবূ দাঊদ; তিনি বলেছেন- আবূ ক্বাতাদাহ্ এর সাথে আবুল খলীলের সাক্ষাৎ হয়নি (তাই এ হাদীসের সানাদ মুত্তাসিল নয়)।][1]
وَعَنْ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهَ الصَّلَاة نصف النَّهَار حَتَّى نِصْفَ النَّهَارِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ إِلَّا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَقَالَ: «إِنَّ جَهَنَّمَ تُسَجَّرُ إِلَّا يَوْمَ الْجُمُعَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ أَبُو الْخَلِيلِ لم يلق أَبَا قَتَادَة
ব্যাখ্যা: ‘জুমু‘আর দিন ব্যতীত’ এ হাদীসটিও পূর্বের হাদীসের ন্যায় জুমু‘আর দিনে সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে অর্ধ দিবসের সময় সালাত আদায় করা বৈধতার দলীল। ইমাম শাফি‘ঈ ও শামবাসীদের (সিরিয়া) থেকেও এ অভিমত পাওয়া যায়। তাদের আরো দলীল হল, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল সকাল জুমু‘আয় যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং খুতবাহ্ (খুতবা) দেয়ার উদ্দেশে ইমাম বেরিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত সালাত আদায়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। আর ইমাম সূর্য ঢলে পড়ার আগে বেরিয়ে আসেন না। এতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সূর্য ঢলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সালাত আদায় করা বৈধ, মাকরূহ নয়।
(إِنَّ جَهَنَّمَ تُسَجَّرُ إِلَّا يَوْمَ الْجُمُعَةِ) ‘‘জুমু‘আর দিন ব্যতীত এ সময়ে জাহান্নাম প্রজ্জ্বলিত করা হয়।’’ দ্বি-প্রহরের সময় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মাকরূহ হওয়ার কারণ এই যে, তখন জাহান্নাম প্রজ্জ্বলিত করা হয়। আর জুমু‘আর দিনে যেহেতু এ সময় জাহান্নাম প্রজ্জ্বলিত করা হয় না ফলে এ সময়ে সালাত আদায় করাও মাকরূহ নয়। আর সাহাবীগণও জুমু‘আর দিন দ্বি-প্রহরের সময় সূর্য ঢলে যাওয়ার পূর্বে সালাত আদায় করতেন। যদি তা মাকরূহ হত তাহলে সাহাবীগণ তা থেকে বিরত থাকতেন।
ইমাম ইবনুল ক্বইয়্যূম যাদুল মা‘আদ-এ (১/১০৩) বলেনঃ জুমু‘আর দিনের বৈশিষ্ট্য যে, এ দিনে সূর্য ঢলার পূর্বে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা মাকরূহ নয়। এটি ইমাম শাফি‘ঈ এবং তার অনুসারীদের অভিমত। ইমাম ইবনু তায়মিয়াও এ মত গ্রহণ করেছেন। আবূ ক্বাতাদার এ হাদীসটি মুরসাল। কিন্তু মুরসাল হাদীসের সাথে যদি ‘আমল পাওয়া যায় এবং ক্বিয়াস দ্বারা তা শক্তিশালী হয় অথবা তার অনুকূলে সাহাবীগণের বক্তব্য পাওয়া যায় যা দ্বারা তা শক্তিশালী হয় তখন এ মুরসাল হাদীস ‘আমলযোগ্য।