পরিচ্ছেদঃ ২২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪১-[৩] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ফাজ্রের (ফজরের) সালাতের পর সূর্য উঠে উপরে চলে না আসা পর্যন্ত আর কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নেই। আর ’আসরের সালাতের পর সূর্য না ডুবা পর্যন্ত কোন সালাত নেই। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ أَوْقَاتِ النَّهْيِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا صَلَاةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ وَلَا صَلَاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ»
ব্যাখ্যা: (لَا صَلَاةَ بَعْدَ الصُّبْحِ) ফাজরের (ফজরের) পর সালাত নেই। অর্থাৎ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিশুদ্ধ নয়। এখানে নেতিবাচক শব্দের অর্থ হলো নিষেধাজ্ঞাসূচক। এখানে যেন বলা হচ্ছে তোমরা ফজরের পরে সালাত আদায় করবে না। আর بَعْدَ الصُّبْحِ ফজরের পরে এর উদ্দেশ্য হলো ফজরের ফরয সালাত আদায়ের পরে।
হাদীসের শিক্ষা: উল্লেখিত দু’ ওয়াক্তে অর্থাৎ ফজরের সালাত আদায়ের পরে এবং ‘আসরের সালাত আদায়ের পরে নফল সালাত আদায় করা হারাম। ইমাম আবূ হানীফার মতে সকল ধরনের নফল সালাত এ দু’ সময়ে অবৈধ। আর ইমাম শাফি‘ঈর মতে কারণবশতঃ যে নফল সালাত আদায় করা হয় যেমন মসজিদে প্রবেশ করে তাহ্ইয়্যাতুল মাসজিদ সালাত আদায় করা। এ ধরনের নফল সালাত অবৈধ নয়। তবে ইমাম আবূ হানীফার মতে এ দু’ সময়েও ক্বাযা সালাত, জানাযার সালাত ও তিলাওয়াতের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) বৈধ।