পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০২৪-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সূরাহ্ ইনশিকাক ও সূরাহ্ আল ’আলাক্ব-এ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেছি। (মুসলিম)[1]
بَابُ سُجُوْدِ الْقُرْانِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَجَدْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي: (إِذا السَّمَاء انشقت)
و (اقْرَأ باسم رَبك)
رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: সূরাহ্ আল ইনশিক্বাক্ব এবং সূরাহ্ ‘আলাক্ব মুফাসসাল সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত। এ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে সাব্যস্ত হয় যে, সূরাহ্ মুফাসসালে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করা বিবিবদ্ধ। খুলাফায়ে রাশিদাহ্, তিন ইমাম এবং একদলে ‘আলিমদের মতে সূরাহ্ মুফাসসালে তিলাওয়াতের সিজদা্ সিদ্ধ। জমহূর ‘আলিমদের মতে মুফাসসাল সূরাসমূহে তিলাওয়াতের সিজদা্ সিদ্ধ নয়। কেননা আবূ সালাআহ্ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে বললেনঃ আপনি এমন এক সূরাতে সিজদা্ করলেন যাতে আমি লোকদের সিজদা্ করতে দেখিনি। এতে বুঝা যায় যে, লোকজন মুরসাল সূরাসমূহে সিজদা্ করা পরিত্যাগ করেছেন এবং এর উপর ‘আমল অব্যাহত আছে।
ইবনু ‘আবদুল বার এর জবাবে বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং খুলাফায়ে রাশিদার বিরুদ্ধাচরণকে কোন ‘আমল বলা যায় কি? ইমাম বুখারী এবং অন্যরা আবূ রাফি' থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর পিছনে ইশার সালাত আদায় করলাম। তিনি তাতে সূরাহ্ ইনশিক্বাক্ব পাঠ করলেন এবং তিলাওয়াতের সিজদা্ করলেন। আমি বললাম, এটা কি? তিনি বললেন, আমি আবুল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পিছনে এ সূরাতে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করেছি। অতএব তাঁর সাথে সাক্ষাতের আগ পর্যন্ত (মৃত্যু পর্যন্ত) সিজদা্ করতেই থাকব।