পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয
১০১৩-[৩২] নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গমন করলেন, তখন সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছিল। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তাকে সালাম প্রদান করলেন। সে ব্যক্তি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর সালামের উত্তর স্বশব্দে দিলো। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তার নিকট ফিরে গেলেন এবং বললেন, তোমাদের কোন লোককে সালাতরত অবস্থায় সালাম দেয়া হলে তার উত্তর স্বশব্দে দিতে নেই, বরং নিজের হাত দিয়ে ইশারা করবে। (মালিক)[1]
وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ مَرَّ عَلَى رَجُلٍ وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ الرَّجُلُ كَلَامًا فَرَجَعَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَقَالَ لَهُ: إِذَا سُلِّمَ عَلَى أَحَدِكُمْ وَهُوَ يُصَلِّي فَلَا يَتَكَلَّمْ وَلْيُشِرْ بِيَدِهِ. رَوَاهُ مَالك
ব্যাখ্যা: ‘যখন তোমাদের কাউকে সালাতরত অবস্থায় সালাম দেয়া হয়’- হাদীসের এ অংশ থেকে জানা যায় যে, সালাতরত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া মাকরূহ নয়। ইমাম আহমাদ এ মতই পোষণ করেন। কেননা হাদীসে এও বর্ণিত আছে যে, আনসার সাহাবীগণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাঁর সালাতরত অবস্থায় প্রবেশ করতেন এবং তাঁকে সালাম দিতেন। আর তিনি হাতের ইশারায় তাদের সালামের উত্তর দিতেন।
(فَلَا يَتَكَلَّمْ) অর্থাৎ কথার মাধ্যমে সালামের জওয়াব দিবে না, কেননা তা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিনষ্ট করে দেয়।
হাদীসের শিক্ষাঃ সালাতরত অবস্থায় কথা বলা নিষেধ। আর তা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিনষ্টকারী।