পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয
১০০৫-[২৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন এমতাবস্থায় দরজা বন্ধ থাকত। আমি এসে দরজা খুলতে বলতাম। তিনি হেঁটে এসে দরজা খুলে দিয়ে আবার মুসল্লায় চলে যেতেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, দরজা ছিল ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)মুখী। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ীতে অনুরূপ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي تَطَوُّعًا وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ فَجِئْتُ فَاسْتَفْتَحْتُ فَمَشَى فَفَتَحَ لِي ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مُصَلَّاهُ وَذَكَرْتُ أَنَّ الْبَابَ كَانَ فِي الْقِبْلَةِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وروى النَّسَائِيّ نَحوه
ব্যাখ্যা: (وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ) ‘দরজা বন্ধ ছিল’ হাদীসের এ অংশ থেকে জানা যায় যে ব্যক্তি এমন স্থানে সালাত আদায় করে যেখানে তার দরজা ক্বিবলার দিকে অবস্থিত। এমতাবস্থায় তার জন্য মুস্তাহাব হলো সে দরজা বন্ধ করে সালাত আদায় করবে। যাতে তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীদের জন্য তা সুতরাহ হয়। এতে এও জানা যায় যে, নফল সালাত লোকদের আড়ালে আদায় করা মুস্তাহাব।
(فَجِئْتُ فَاسْتَفْتَحْتُ) ‘আমি এসে দরজা খুলতে বললাম।’ এ থেকে জানা যায় যে, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) জানতেন না যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতরত আছেন। জানতে পারলে তিনি তাঁকে দরজা খুলতে বলতেন না। তার জ্ঞান ও ভদ্রতা এরই সাক্ষ্য গ্রহণ করে।
(أَنَّ الْبَابَ كَانَ فِي الْقِبْلَةِ) দরজা ক্বিবলার দিকে ছিল। ফলে দরজার দিকে এগিয়ে আসার জন্য তাঁকে ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) থেকে মুখ ফিরাতে হয়নি। আবার সালাতের স্থানে প্রত্যাবর্তনকালে মুখ না ফিরিয়েই পিছন দিকে সরে গেছেন।
হাদীসের শিক্ষাঃ প্রয়োজনে নফল সালাতে এ ধরনের কাজ সম্পাদন করা যায়। এতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ভঙ্গ হয় না। যদিও এ কাজ ধারাবাহিকভাবে সম্পাদিত হয়।