১০০১

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

১০০১-[২৪] আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়াবে সে যেন হাত দিয়ে পাথর ঘষে না উঠায়। কেননা রহমত তার সম্মুখ দিয়ে আগমন করে। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَا يَمْسَحِ الْحَصَى فَإِنَّ الرَّحْمَةَ تُوَاجِهُهُ» . رَوَاهُ أَحَمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَه

وعن ابي ذر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا قام احدكم الى الصلاة فلا يمسح الحصى فان الرحمة تواجهه» . رواه احمد والترمذي وابو داود والنساىي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: ‘‘যখন সালাতে দাঁড়াবে’’ অর্থাৎ যখন সালাতে প্রবেশ করবে। কেননা তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীর জন্য এরূপ কোন কাজ করা নিষিদ্ধ নয়। এই নিষেধাজ্ঞা তখনই প্রযোজ্য যদি এর দ্বারা সাজদার স্থান ঠিক করা উদ্দেশ্য না হয়। আর যদি সাজদার স্থান ঠিক করণার্থে তা করে তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু স্পর্শ করা যাবে। জমহূর ‘আলিমদের মতে এখানে ছোট পাথরের উল্লেখ কোন বিশেষ কারণে হয়নি। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরূপ হয়ে থাকে। যেহেতু তাদের সাজদার স্থলে এরূপ পাথরই থাকতো। অতএব পাথর, ধূলা বা বালির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

‘‘রহমাত তার সম্মুখ দিয়ে আগমন করে’’ অর্থাৎ তার উপর রহমাত নাযিল হয় এবং তা তার সম্মুখে আসে। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ এই নিষেধাজ্ঞার হিকমাত হলো সালাত আদায়কারী যেন তার অন্তরকে এমন কোন কাজে ব্যাস্ত না রাখে যা তার প্রতি নাযিলকৃত রহমাত থেকে গাফিল রাখে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)