৯৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার

৯৬৭-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে লোক প্রত্যেক সালাতের শেষে ’সুবহা-নাল্ল-হ’ তেত্রিশবার, ’আলহামদু লিল্লা-হ’ তেত্রিশবার এবং ’আল্ল-হু আকবার’ তেত্রিশবার পড়বে, যার মোট সংখ্যা হবে নিরানব্বই বার, একশত পূর্ণ করার জন্যে একবার ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া ’আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর’’ (অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমগ্র রাজত্ব একমাত্র তাঁরই ও সকল প্রকারের প্রশংসা তাঁরই জন্য এবং তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান।) পাঠ করবে, তাহলে তার সব পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যদি তা সাগরের ফেনারাশির সমানও হয়। (মুসলিম)[1]

بَابُ الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سَبَّحَ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَحَمَدَ اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَكَبَّرَ اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَتِلْكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من سبح الله في دبر كل صلاة ثلاثا وثلاثين وحمد الله ثلاثا وثلاثين وكبر الله ثلاثا وثلاثين فتلك تسعة وتسعون وقال تمام الماىة: لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير غفرت خطاياه وان كانت مثل زبد البحر . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (تَمَامَ الْمِائَةِ) অর্থাৎ যা দ্বারা একশত সংখ্যা পূর্ণ হয়। অত্র হাদীসে বর্ণিত দু‘আ لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه..... যা একশত সংখ্যা পূর্ণকারী বলা হয়েছে তা ঐ সমস্ত বর্ণনার বিপরীত যাতে বলা হয়েছে তাকবীর ৩৪ বার পাঠ করবে যাতে একশত সংখ্যা পূর্ণ হয়। ইমাম নাবাবী বলেনঃ এ দুই বর্ণনার মাঝে সমাধান এই যে, তাকবীর ৩৪ বার বলার পরে لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه..... দু‘আটিও পাঠ করবে। অন্যরা বলেন বরং এখানে সমাধান এই যে, কোন সময় তাকবীর ৩৪ বার পাঠ করবে। আবার কোন সময় لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه..... পাঠ করবে।

(غُفِرَتْ خَطَايَاهُ) তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। এতে সগীরাহ্ গুনাহ উদ্দেশ্য। আলী ক্বারী বলেনঃ কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ক্ষমা করার সম্ভাবনাও রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)