৯৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার

৯৬৩-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালাতের সালাম ফিরানোর পর উচ্চকণ্ঠে বলতেন,

’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া ’আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়ালা- না’বুদু ইল্লা- ঈয়্যাহু, লাহুন্ নি’মাতু, ওয়ালাহুল ফাযলু, ওয়ালাহুস্ সানা-উল হাসানু, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন’’

(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাশীল। কোন অন্যায় ও অনিষ্ট হতে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই এবং কোন সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ’ইবাদাত করি, যাবতীয় নি’আমাত ও অনুগ্রহ একমাত্র তাঁরই পক্ষ থেকে এবং উত্তম প্রশংসাও তাঁর। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফিরদের নিকট তা অপ্রীতিকর।)। (মুসলিম)[1]

بَابُ الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ

وَعَن عبد الله بن الزبير قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ يَقُولُ بِصَوْتِهِ الْأَعْلَى: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّه لَا إِلَه إِلَّا الله لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدّين وَلَو كره الْكَافِرُونَ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن عبد الله بن الزبير قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا سلم من صلاته يقول بصوته الاعلى: «لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير لا حول ولا قوة الا بالله لا اله الا الله لا اله الا الله ولا نعبد الا اياه له النعمة وله الفضل وله الثناء الحسن لا اله الا الله مخلصين له الدين ولو كره الكافرون» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (إِذَا سَلَّمَ) ‘‘যখন সালাম ফিরাবে’’ হাদীসের এ অংশ প্রতীয়মান হয় যে, অত্র হাদীসে বর্ণিত দু‘আটি সালাম ফিরানোর পর অন্যান্য দু‘আর পূর্বেই পাঠ করতে হবে। এটি ইতোপূর্বে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) ও সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস বিরোধী নয়। বরং এর মর্মার্থ হলো কখনো সালামের পর এ দু‘আটি পড়বে। আবার কখনো ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) ও সাওবান (রাঃ) বর্ণিত দু‘আ পাঠ করবে সকল দু‘আ এক সাথে পাঠ করা উদ্দেশ্য নয়। এটাও বলা হয়ে থাকে যে, হাদীসগুলোতে বর্ণিত সকল দু‘আ একই সময়ে পাঠ করা যায়। কেননা হতে পারে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এ সকল দু‘আই পাঠ করেছেন। বর্ণনাকারীদের মধ্যে যিনি যতটুকু শুনেছেন তিনি তা-ই বর্ণনা করেছেন। তবে শেষোক্ত মতটি হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ থেকে অনেক দূরে।

হাদীসটি এটাও প্রমাণ করে যে, এ দু‘আটি সালামের পর একবার পাঠ করবে একাধিকবার নয়। কেননা হাদীসে তা একাধিক পাঠ করার কথা উল্লেখ নেই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)