৯৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার

৯৫৯-[১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ হওয়াটা বুঝতাম তাকবীর শোনার মাধ্যমে। (মুত্তাফাকুন ’আলায়হি)[1]

بَابُ الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: كُنْتُ أَعْرِفُ انْقِضَاءَ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم بِالتَّكْبِيرِ

عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: كنت اعرف انقضاء صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم بالتكبير

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আল্ল-হু আকবার’ ধ্বনি শ্রবণ করে তাঁর সালাত শেষ হওয়া এবং তা থেকে অবসর হওয়া বুঝতে পারতাম। বুখারী ও মুসলিম ইুবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে এও বর্ণনা করেছেন যে ‘‘ফরয সালাত শেষ করার পর উচ্চৈঃস্বরে যিকর পাঠ’’ রসূলু্ল্লাহ (রাঃ)-এর যুগে প্রচলিত ছিল। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আরো বলেনঃ যিকর বা তাকবীর শুনে আমি লোকজনের সালাত শেষ হওয়া বুঝতে পারতাম। এ থেকে বুঝা যায় যে, লোকজন সালাত শেষে উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর ও যিকর পাঠ করতেন। অতএব হাদীসটি প্রমাণ করে যে, ফরয সালাতের পরে উচ্চৈঃস্বরে ‘আল্ল-হু আকবার’ বলা এবং অন্যান্য যিকর করা মুসতাহাব। এ হাদীস থেকে এটাও বুঝা যায় যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বয়সে ছোট হওয়ার কারণে তখন নিয়মিত জামা‘আতে উপস্থিত হতেন না তাই তিনি লোকজনের তাকবীর ধ্বনি ও তাদের যিকিরের (জিকিরের) আওয়াজ শুনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সমাপ্তির বিষয়ে অবহিত হতেন।

ইমাম নাবাবী বলেনঃ এ হাদীসটি ঐসব সালাফীদের দলীল যারা বলেন যে, ফরয সালাতের পরে উচুঁস্বরে ‘আল্ল-হু আকবার’ বলা এবং যিকর আযকার পাঠ করা মুস্তাহাব। আর পরবর্তী যুগের যারা এটাকে মুস্তাহাব বলেন তাদের অন্যতম হলেন ইবনু হাযম। ‘আল্লামা মুবারকপূরী বলেনঃ যারা ফরয সালাতের পর উচুঁস্বরে তাকবীর বলা ও যিকর-আযকার পাঠ করা মুসতাহাব মনে করেন তাদের অভিমত আমার দৃষ্টিতে অধিক গ্রহণযোগ্য যদিও চার ইমাম ও তাদের অনুসারীগণ এতে একমত পোষণ করেন না। কেননা সঠিক তা-ই যার ব্যাপারে দলীল প্রমাণ পাওয়া যায়। কোন ব্যক্তির অভিমত ও দাবী দলীল ব্যতীত সঠিক হতে পারে না। তবে হ্যাঁ এ উঁচুস্বরের ক্ষেত্রে বেশী বাড়াবাড়ি করা যাবে না এবং সীমাতিরিক্ত উঁচু আওয়াজ করা যাবে না কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমরা তোমাদের প্রতি সদয় হও।’’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)