৯৫৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দু‘আ

৯৫৩-[১৫] ’আত্বা আল খুরাসানী (রহঃ) মুগীরাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণনা করেছেন। মুগীরাহ্ বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যে স্থানে ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছে সে স্থানে যেন অন্য কেউ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করে, যে পর্যন্ত না স্থান পরিবর্তন করে। (আবূ দাঊদ; কিন্তু তিনি বলেছেন, মুগীরার সাথে ’আত্বা আল খুরাসানী-এর সাক্ষাৎ হয়নি)

وَعَن عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ عَنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُصَلِّي الْإِمَامُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ حَتَّى يتَحَوَّل» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَقَالَ عَطاء الخرساني لم يدْرك الْمُغيرَة

وعن عطاء الخراساني عن المغيرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يصلي الامام في الموضع الذي صلى فيه حتى يتحول» . رواه ابو داود وقال عطاء الخرساني لم يدرك المغيرة

ব্যাখ্যা: (لَا يُصَلِّ الْإِمَامُ) ‘‘ইমাম যেন সালাত না আদায় করে’’। এটা শুধুমাত্র ইমামের জন্য নির্ধারিত না বরং মুক্তাদী ও একাকী ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য আর দলীল যা আহমাদ, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্ বর্ণনা করেছে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে মারফূ‘ সূত্রে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমাদেরকে কিসে অপারগ করেছে নফল সালাতে ডানে বা বামে অগ্রসর বা পিছনে সরে আসতে?’’ সুতরাং হাদীসটি উন্মুক্ত বা ‘আমভাবে প্রমাণ করছে।

(فِي الْمَوْضِعِ الَّذِىْ صَلّـى فِيْهِ حَتّى يَتَحَوَّلَ) যে স্থানে ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছে সেখান থেকে অন্য স্থানে সরে নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে। আর ইবনু মাজাতে এসেছে, ‘‘ইমাম যে স্থানে ফরয সালাত আদায় করেছে যেখান হতে সামান্য সরবে।’’ আর ইবনু আবী শায়বাতে হাসান ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, ‘‘সুন্নাত হলো ইমাম তার স্থান হতে সরে গিয়ে নফল সালাত আদায় করে।’’

আর এমনটি যে নফল সালাতেও করে। আর যদি স্থান পরিবর্তন না করতে পারে তাহলে যেন কথা বলার মাধ্যম করে পার্থক্য করে। যেমনটি মুসলিম বর্ণনা করেন সায়িব হতে, তিনি বলেন, তিনি মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর সাথে জুমু‘আর সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর তিনি (সায়িব) তার স্থানে পরে নফল সালাত আদায় করলেন। তখন মু‘আবিয়াহ্ বললেন, যখন জুমু‘আর সালাত আদায় করবে তুমি আর ওখানে সালাত আদায় করবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত কথা বলেছো অথবা বের হচ্ছো। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন এক সালাতের পর আর অন্য কোন সালাত যেন না মিলাই যতক্ষণ না কথা বলি বা বের হই।


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)