৯২১

পরিচ্ছেদঃ ১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা

৯২১-[৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ الصَّلَوةِ عَلَى النَّبِىِّ ﷺ وَفَضْلِهَا

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عشرا» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من صلى علي واحدة صلى الله عليه عشرا» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: তিরমিযীর বর্ণনায় এভাবে এসেছে- ‘‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর দশবার রহমাত বর্ষণ করেন অথবা তার জন্য দশটি পুণ্য বা নেকী লিখে দিবেন এর বিনিময়ে।’’

কিন্তু আত্ তিরমিযী’র এ রিওয়ায়াত আমি (ভাষ্যকার) কোথাও পাইনি।

সালাতের উদ্দেশ্য হলোঃ আল্লাহর পক্ষ হতে তার বান্দার ওপর রহমাত বর্ষিত হওয়া আর তিনি তাদের ওপর রহমাতের বারিধারা বর্ষণ করেন, ফলে রহমাতের পরিমাণ অনেক হয়।

ক্বাযী ‘ইয়ায বলেনঃ আল্লাহর দয়া ও প্রতিদান বৃদ্ধি পাবে, যেমন আল্লাহর বাণীঃ ‘‘যে একটি সৎ কাজ করবে সে দশগুণ পাবে।’’ (সূরাহ্ আল আন্‘আম ৬ : ১৬০)

মুল্লা ‘আলী কারী  বলেনঃ দশটি প্রতিদান বৃদ্ধি এটি সর্বনিম্ন।

যদি প্রশ্ন করা হয়, কিভাবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর একবার দরূদ পড়লে দরূদ পাঠকারীর ওপর দশবার পাঠ করার সমতুল্য হয় বিষয়টি বুঝতে কঠিন হয়।

জওয়াবঃ একবার দরূদ প্রেরণ দরূদ পাঠকারীর কাজের একটি বৈশিষ্ট্য আর প্রতিদান দশগুণ এটি আল্লাহর পক্ষ হতে, যেমন আল্লাহ বলেনঃ

 مَن جَآءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَه عَشْرُ اَمْثَالِهَا

আবার হাদীস হতে এটা বুঝে আসে না যে, আল্লাহর পক্ষ হতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর মাত্র একবার রহমাত প্রেরণ করেন, আল্লাহর অনুগ্রহ প্রশস্ত ও বিস্তৃত।

উল্লিখিত হাদীস আর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) -এর হাদীস যেখানে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ ও তাঁর মালাক (ফেরেশতা) সত্তরবার রহমাত করবে। [অর্থাৎ- এ হাদীসে সত্তরের কথা এসেছে আর উল্লিখিত হাদীসে ১০ (দশ) বারের কথা এসেছে]

দু’ হাদীসে দ্বন্দ্ব সমাধানে জবাব হবে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ফাযীলাতের ব্যাপারে কিছু বিষয় ধাপে ধাপে জেনেছেন, যখনই তিনি জেনেছেন (আল্লাহর পক্ষ হতে) তখনই বলে দিয়েছেন।

প্রথম হাদীসের ফাযীলাতে বিষয় যখন জেনেছে বলেছেন। আবার যখন বেশি ফাযীলাত জেনেছেন তা বলে দিয়েছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)