পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১৪-[৯] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক যেন সালাতে হাতের উপর ঠেস দিয়ে না বসে। (আবূ দাঊদ)[1]
আবূ দাঊদ-এর এক বর্ণনায় এ শব্দগুলোও আছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিষেধ করেছেনঃ সালাতে উঠার সময় কোন ব্যক্তি যেন তার দু’ হাতের উপর ভর দিয়ে না উঠে।[2]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْلِسَ الرَّجُلُ فِي الصَّلَاةِ وَهُوَ مُعْتَمِدٌ عَلَى يَدِهِ. رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: نَهَى أَنْ يَعْتَمِدَ الرَّجُلُ عَلَى يَدَيْهِ إِذا نَهَضَ فِي الصَّلَاة
[2] মুনকার : মাসদুরুস্ সা-বিক্ব (প্রাগুক্ত)।
ব্যাখ্যা: ‘‘হাতের উপর ঠেস দিয়ে বসা’’ উদ্দেশ হলোঃ সালাতে বসার সময় দু’হাতের উপর ভর দিবে আর তা জমিনের উপর রাখবে এবং তার উপর ঠেস দিয়ে রাখবে।
আর নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো, এটা অহংকারী ব্যক্তির বসার স্টাইল এবং এ বসার মাধ্যমে ধীরস্থির ও বরাবরভাবে বসার পরিবেশ নষ্ট হয়। সুতরাং এটা সুস্পষ্ট হারাম। আবূ দাঊদ-এর অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘‘সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী ব্যক্তি উঠার সময় হাতের উপর ভর দিয়ে উঠবে না।’’
ইমাম আহমাদ হতে বর্ণিত, ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন সালাতে হাতের উপর ভর করে বসতে।’’
মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল মালিক হতে, ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন সালাতে দু’ হাত দিয়ে ভর করে দাঁড়াতে।’’
আর আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু শাবূইয়াহ্ হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে হাতের উপর ভর দিতে নিষেধ করেছেন।’’
আর মুহাম্মাদ ইবনু রাফি' হতে বর্ণিত, ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতের উপর ভর দিয়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন।’’
বসার সময় চাই দু’ বৈঠক হোক, অথবা দু’ সাজদার মাঝখানে হোক অথবা জালসাতে ইসতিরাহ্ দু’সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) শেষে উঠার পর বসা তারপরে দাঁড়ানা হোক সকল অবস্থায় হাতের উপর ঠেস বা ভর দিয়ে বসা নিষেধ।
আর ইবনু ‘আবদুল মালিক-এর বর্ণিত রিওয়ায়াত খাস হলো সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) হতে দাঁড়ানোর সময় হাতের উপর ভর দিয়ে উঠা নিষেধ।
সুতরাং দ্বন্দ্ব হলো এ দু’জনের বর্ণিত রিওয়ায়াত, তবে এখানে ইবনু ‘আবদুল মালিক-এর চেয়ে আহমাদ ইবনু হাম্বাল-এর রিওয়ায়াত প্রাধান্য পাবে, কেননা তিনি বেশী সিক্বাহ্ তথা নির্ভরযোগ্য ও প্রসিদ্ধ রাবী।
ইবনু ‘আবদুল মালিক তাঁর তুলনায় ততো বেশী নির্ভরযোগ্য নয়।
পক্ষান্তরে আহমাদ এর বর্ণনার স্বপক্ষে আরো হাদীস এসেছে যেমন বুখারীতে ‘‘মালিক ইবনু হুওয়াইবিস এর হাদীস জমিনেরর উপর ভর দিতেন।’’
ইমাম শাফি‘ঈর ‘‘কিতাবুল উম্মাতে’’ এসেছে, ‘‘দু’হাত জমিনের উপর ভর দিতেন।’’
সুতরাং ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল-এর রিওয়ায়াত বেশী গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী।