৯০৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ

৯০৭-[২] আর এক বর্ণনায় আছে, যখন সালাতের মধ্যে বসতেন দু’ হাত দু’ হাঁটুর উপর রাখতেন এবং ডান হাতের বৃদ্ধার নিকট যে আঙ্গুল রয়েছে (তর্জনী) তা উঠাতেন। তা দিয়ে দু’আ (ইশারা) করতেন। আর তাঁর বাম হাত বাম হাঁটুর উপর বিছানো থাকতো।[1]

بَابُ التَّشَهُّدِ

وَفِي رِوَايَةٍ: كَانَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلَاةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَفَعَ أُصْبُعَهُ الْيُمْنَى الَّتِي تلِي الْإِبْهَام يَدْعُو بِهَا وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ بَاسِطَهَا عَلَيْهَا. رَوَاهُ مُسلم

وفي رواية: كان اذا جلس في الصلاة وضع يديه على ركبتيه ورفع اصبعه اليمنى التي تلي الابهام يدعو بها ويده اليسرى على ركبته باسطها عليها. رواه مسلم

ব্যাখ্যা: দু’ হাতকে দু’ হাঁটুর উপর রাখার উদ্দেশ্য হলো সালাতকে অনর্থক কোন কিছু থেকে হিফাযাত করা আর শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ্য রাখা।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ইশারার মাধ্যমে তাওহীদের স্বীকৃতি দিতেন, এর দ্বারা দলীল সাব্যস্ত হয় না যে, শাহাদাত আঙ্গুল উঠাতেন ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’’ বলার সময়, বরং এখানে ইশারা করার হিকমাত বর্ণনা করা হয়েছে আর তা হলো তাওহীদ।

(ثَلَاثَةً وَخَمْسِيْنَ) - তিপ্পান্ন গণনার মতো আঙ্গুলসমূহ বন্ধ করা। এর চিত্র কয়েকভাবে।

প্রথমত কনিষ্ঠা, অনামিকা মধ্যমা অঙ্গুলি বন্ধ করে তর্জনীকে খাড়া রাখা আর বৃদ্ধাঙ্গুলিকে তর্জনীর গোড়ার সাথে লেগে রাখা।

দ্বিতীয়ত সকল আঙ্গুলকে মুষ্টিবদ্ধ করবে নিরাপদে আর তর্জনী দ্বারা ইশারা করবে।

আর এর স্বপক্ষে মুসলিমের হাদীস রয়েছে যা, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে বসতেন ডান হাতের তালু ডান রানের উপর রাখতেন এবং সকল আঙ্গুলকে মুষ্টিবদ্ধ বা বন্ধ করতেন আর বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশে যে আঙ্গুল আছে তথা তর্জনী দ্বারা ইশারা করতেন।

তৃতীয়ত কনিষ্ঠা, অনামিকা বন্ধ করে তর্জনীকে খাড়া রেখে বৃদ্ধা আঙ্গুল ও মধ্যমাকে গোল করা তথা বৃদ্ধা আঙ্গুল ও মধ্যকার মাথাকে পরস্পরে মিলিয়ে বৃত্তের মতো করা।

যেমনটি ওয়ায়িল-এর হাদীস সামনে আসছে।

চতুর্থত ডান হাত ডান রানের উপর রেখে তর্জনী দ্বারা ইশারা করা। আর বৃদ্ধা আঙ্গুল মধ্যমার উপর রাখবে। যেমনটি ‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র এর হাদীস সামনে আসছে।

আর এ বিভিন্ন পদ্ধতি সংক্রান্ত হাদীসগুলোর মধ্যে কোন মতবিরোধ নেই প্রত্যেক পদ্ধতি জায়িয রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন পদ্ধতি করতেন।

আমি (ভাষ্যকার) বলি, বায়হাক্বী ও অন্যান্য রিওয়ায়াতের হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য তর্জনীর ইশারা দ্বারা তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দেয়া এটা বলা উদ্দেশ্য না যে, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলার সময় ইশারা করবে।

আর সাহাবীগণ ইশারা দ্বারা হিকমাত বর্ণনা উদ্দেশ্য নিতেন সময় নির্ধারণের উদ্দেশ্য নিতেন না।

এ সংক্রান্ত হাদীসসমূহ সুস্পষ্ট প্রমাণ করে ইশারা তর্জনী দ্বারা, ইশারা হবে বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তথা সালাম দেয়া পর্যন্ত আর এটার প্রাধান্য বর্ণনার মতো।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)