পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৪-[৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখন ’’সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’’ বলবে, তখন তোমরা ’’আল্লা-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’’ বলবে। কেননা যার কথা মালায়িকার কথার সাথে মিলে যাবে, তার পূর্বের (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الرُّكُوْعِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا قَالَ الْإِمَامُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
ব্যাখ্যা: ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে রুকূ‘ থেকে যখন দাঁড়াতেন (سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ) বলতেন, তখন তার পিঠকে রুকূ' থেকে সোজা করতেন, অতঃপর দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় বলতেন, (رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ)।’’
দারাকুত্বনীর হাদীস যা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ) বললেন যারা তার পিছনে ছিল তারাও বলল (سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ) তবে ইমাম দারাকুত্বনী এ হাদীসটিকে আরো সুস্পষ্ট করে বলেছা বিশুদ্ধ শব্দ হচ্ছে যখন ইমাম (سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ) বলবে তার পিছনে যারা আছের তথা মুক্তাদীরা (رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ) বলবে।
ইমাম দারাকুত্বনী আরও রিওয়ায়াত করেন যা বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে বুরায়দাহ্! তুমি যখন তোমার মাথা রুকূ‘ থেকে উঠাবে বলবে (سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ) ও (اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ) অর্থাৎ- হে আল্লাহ, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমারই প্রশংসায় পরিপূর্ণ আকাশসমূহ পরিপূর্ণ এ পৃথিবী এবং অনাগত ভবিষ্যতে আপনি যা চান তা পরিপূর্ণ।
উল্লিখিত এ হাদীস প্রমাণ করে ইমাম, মুক্তাদী ও মুনফাবিদ (একাকী সালাত আদায়কারী ব্যক্তি)-দের মাঝে কোন পার্থক্য নেই তথা সকলেই তাসমী ও তাহমীদ বলবে।
যার বলা মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) বলার সময় মিলে যাবে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। ছোট গুনাহ খাত্ত্বাবী বলেনঃ হাদীস প্রমাণ করে মালায়িকাহ্ মুসল্লীদের সাথে এ কথা বলতে থাকে। তারাও আল্লাহর মাগফিরাত কামনা করে এবং দু‘আ ও যিকিরে উপস্থিত হয়।