৮৭১

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘

৮৭১-[৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের উপর ’আমল করে নিজের রুকূ’ ও সাজদায় এই দু’আ বেশি বেশি পাঠ করতেনঃ ’’সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা রব্বানা- ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুমাগ ফিরলী’’- (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি পূত-পবিত্র। তুমি আমাদের রব। আমি তোমার গুণগান করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহ মাফ করে দাও)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الرُّكُوْعِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ: «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي» يَتَأَوَّلُ الْقُرْآن

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان النبي صلى الله عليه وسلم يكثر ان يقول في ركوعه وسجوده: «سبحانك اللهم ربنا وبحمدك اللهم اغفر لي» يتاول القران

ব্যাখ্যা: এ দু‘আটি সূরাহ্ আন্ নাসর নাযিল হওয়ার পর রুকূ‘ এবং সাজদায় খুব বেশি বলতেন। সালাতের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু‘আ চয়ন করার কারণ অন্য সকল সময়ের চেয়ে এ সময়টি বেশি উত্তম এবং আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়নে পরিপূর্ণ একাগ্রতা আসে।

আবার কেউ কেউ বলেন, সালাতের বাইরেও এ দু‘আটি পড়তেন দলীল স্বরূপ মুসলিমের হাদীসটি পেশ করে থাকেন। যেখানে বর্ণিত হয়েছে তিনি এ দু‘আটি সালাতের ভিতরে এবং বাইরেও পড়তেন।

হাদীসটি প্রমাণ করে রুকূ‘তে তাসবীহ বৈধ এবং সাজদাতে দু‘আ; যা আগত হাদীসটি প্রমাণ করে। যেখানে বলা হয়েছে, তোমরা রুকূ‘তে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করবে আর সাজদায় বিনয়ের সাথে দু‘আ করবে।

এর বিপরীত হবে না কারণ রুকূ‘তে দু‘আ নিষেধ করে না যেমনি তেমনি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ও আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব নিষেধ করে না এজন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব দু‘আ বিপরীত না।

ইবনু দাক্বীক্ব বলেছেনঃ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাদীসটি দু‘আ বৈধ প্রমাণ করে।

আবার এটা সম্ভাবনা আছেঃ সাজদায় বেশি বেশি দু‘আ করা আর রুকূ‘তে (اَللّهُمَّ اغْفِرْلِىْ) বলা খুব বেশি না, সুতরাং সংঘর্ষ থাকে না, মোদ্দা কথা সাজদার তুলনায় রুকূ‘তে দু‘আ করার বিষয়টি অতি নগণ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)