পরিচ্ছেদঃ ১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬৫-[৪৪] ’আমির ইবনু রবী’আহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আমীরুল মু’মিনীন খলীফাহ্ ’উমার (রাঃ) ফারূক (রাঃ)-এর পিছনে ফাজ্রের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তিনি এর দু’ রাক্’আতেই সূরাহ্ ইউসুফ ও সূরাহ্ হাজ্জকে থেমে থেমে তিলাওয়াত করেছেন। কেউ আমিরকে জিজ্ঞেস করলো যে, খলীফাহ্ ’উমার (রাঃ) ফাজ্রের (ফজরের) ওয়াক্ত শুরু হবার সাথে সাথেই কি সালাতে আদায়ে দাঁড়িয়ে যেতেন? উত্তরে আমির বলেন, হ্যাঁ। (মালিক)[1]
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: صلينَا وَرَاء عمر ابْن الْخطاب الصُّبْح فَقَرَأَ فيهمَا بِسُورَةِ يُوسُفَ وَسُورَةِ الْحَجِّ قِرَاءَةً بَطِيئَةً قِيلَ لَهُ: إِذًا لَقَدْ كَانَ يَقُومُ حِينَ يَطْلُعُ الْفجْر قَالَ: أجل. رَوَاهُ مَالك
ব্যাখ্যা: (فَقَرَأَ فِيهمَا بِسُورَةِ يُوسُفَ وَسُورَةِ الْحَجِّ) ‘‘তিনি ফাজরের (ফজরের) দু’ রাক্‘আতে সূরাহ্ ইউসুফ এবং সূরাহ্ আল্ হাজ্জ পাঠ করলেন।’’ অর্থাৎ- প্রথম রাক্‘আতে সূরাহ্ ইউসুফ পুরাটাই পাঠ করলেন এবং দ্বিতীয় রাক্‘আতে সূরাহ্ আল্ হাজ্জ পুরাটাই পাঠ করলেন।
(قِرَاءَةً بَطِيئَةً) ‘‘থেমে থেমে পাঠ করলেন।’’ অর্থাৎ- দ্রুত পাঠ না করে তাজবীদ সহকারে থেমে থেমে পাঠ করলেন।
বিভিন্ন আসার প্রমাণ করে যে, খুলাফায়ে রাশিদাগণ ফাজরের (ফজরের) সালাতে ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘ করতেন। তা এজন্য যে, তাদের পিছনে যে সকল মুক্তাদীগণ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন তারা দীর্ঘ ক্বিরাআত (কিরআত) পছন্দ করতেন এবং এ বিষয়টি তাদের জানা ছিল তাই তারা ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘ করতেন। তবে বর্তমান সময়ে ক্বিরাআত (কিরআত) হালকা করাই উত্তম। কেননা বর্তমান সময়ের মুক্তাদীগণের অবস্থা পূর্বকালের মুক্তাদীগণের মতো নয়। তাছাড়া নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ من أم الناس فليخفف ‘‘যিনি ইমামাত করবেন তিনি যেন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সংক্ষিপ্ত করেন।’’