৮৬০

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা

৮৬০-[৩৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তি সূরাহ্ ওয়াত্ তীনি ওয়াযযায়তূন পড়তে পড়তে ’’আলায়সাল্ল-হু বিআহকামিল হা-কিমীন’’ (আল্লাহ কি সবচেয়ে বড় হাকিম নন?) পর্যন্ত পৌঁছবে, সে যেন বলে, ’’বালা-, ওয়াআনা- ’আলা- যা-লিকা মিনাশ্ শা-হিদীন’’ [সূরাহ্ আত্ তীন] (হাঁ, আমি এ কথার সাক্ষ্যদানকারীদের একজন)।

আর যে ব্যক্তি সূরাহ্ আল ক্বিয়া-মাহ্ পড়তে পড়তে ’’আলায়সা যা-লিকা বিক্ব-দিরীন ’আলা- আই ইউহয়্যিয়াল মাওতা-’’ (সে আল্লাহর কি এ শক্তি নেই যে, তিনি মৃতদেরকে জীবিত করে উঠাবেন), তখন সে যেন বলে, ’’বালা-’’ (হাঁ, তিনি তা করতে সমর্থ)।

আর যে ব্যক্তি সূরাহ্ ওয়াল মুরসালা-ত পড়তে পড়তে ’’ফাবি আইয়ি হাদীসিন বা’দাহূ ইউ’মিনূন’’ (এরপর এরা কোন কথার উপর ঈমান আনবে?’’) এ পর্যন্ত পৌঁছে সে যেন বলে, ’’আ-মান্না- বিল্লা-হ’’ (আমরা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি)।

আবূ দাঊদ, তিরমিযী এ হাদীসটিকে ’’শাহিদীন’’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: من قَرَأَ مِنْكُم ب (التِّين وَالزَّيْتُون)
فَانْتهى إِلَى (أَلَيْسَ الله بِأَحْكَم الْحَاكِمين)
فَلْيَقُلْ: بَلَى وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ. وَمن قَرَأَ: (لَا أقسم بِيَوْم الْقِيَامَة)
فَانْتَهَى إِلَى (أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَن يحيي الْمَوْتَى)
فَلْيَقُلْ بَلَى. وَمَنْ قَرَأَ (وَالْمُرْسَلَاتِ)
فَبَلَغَ: (فَبِأَيِّ حَدِيث بعده يُؤمنُونَ)
فَلْيَقُلْ: آمَنَّا بِاللَّهِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ إِلَى قَوْلِهِ: (وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ)

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من قرا منكم ب (التين والزيتون) فانتهى الى (اليس الله باحكم الحاكمين) فليقل: بلى وانا على ذلك من الشاهدين. ومن قرا: (لا اقسم بيوم القيامة) فانتهى الى (اليس ذلك بقادر على ان يحيي الموتى) فليقل بلى. ومن قرا (والمرسلات) فبلغ: (فباي حديث بعده يومنون) فليقل: امنا بالله . رواه ابو داود والترمذي الى قوله: (وانا على ذلك من الشاهدين)

ব্যাখ্যা: ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন, সালাতের মধ্যে এবং সালাতের বাইরে এ জাতীয় দু‘আর বাক্য সংযোজন করা জায়িয আছে। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা শুধু নফল সালাতের জন্যে জায়িয। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেন, সালাতের মধ্যে জায়িয নেই অবশ্য সালাতের বাইরে জায়িয আছে। তারা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এর হাদীস দিয়ে দলীল পেশ করেন। এ হাদীস দ্বারা সালাতের বাইরে বা নফল সালাতের জন্যে নির্দিষ্ট করার পক্ষে দলীল পেশ করা সঠিক হয়নি যা প্রত্যাখ্যান করা যায় সাহাবীগণের আসার দিয়ে। আরো প্রমাণিত হয়, যে ব্যক্তি পড়ে তার সাথে বা ইমামের সাথে নির্দিষ্ট নয় বরং যে পড়বে এবং যে শুনবে সবার জন্যেই এ তাসবীহ পড়া মুস্তাহাব।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)