পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৫-[৩৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেহরী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অর্থাৎ- শব্দ করে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে সালাত আদায়কারীদের দিকে ফিরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এখন আমার সাথে ক্বিরাআত (কিরআত) তিলাওয়াত করেছো? এক ব্যক্তি বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! (আমি পড়েছি)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাই তো, আমি সালাতে মনে মনে বলছিলাম, কি হলো, আমি ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ করতে আটকিয়ে যাচ্ছি কেন? আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা শুনার পর লোকেরা রসূলের পেছনে জেহরী সালাতে ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ বন্ধ করে দিয়েছিল। (মালিক, আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ فَقَالَ: «هَلْ قَرَأَ مَعِي أَحَدٌ مِنْكُمْ آنِفًا؟» فَقَالَ رَجُلٌ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: إِنِّي أَقُولُ: مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ؟ «. قَالَ فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا جَهَرَ فِيهِ بِالْقِرَاءَةِ مِنَ الصَّلَوَاتِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ نَحْوَهُ
ব্যাখ্যা: (فَانْتَهَى النَّاسُ عَنْ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ) ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা শুনে তাঁর পেছনে জেহরী সালাতে লোকজন ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ বন্ধ করে দিয়েছিল।’’ ‘আল্লামা আলক্বারী বলেনঃ এ থেকে বুঝা যায় যে, যেসব সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপে চুপে ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ করতেন সেসব সালাতে সাহাবীগণ চুপে ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ করতেন। এটাই অধিকাংশ ‘আলিমদের মত। আমাদের (হানাফীদের) ইমাম, ইমাম মুহাম্মাদ এর অভিমতও তাই।
জেনে রাখা ভালো যে, হাদীসে বর্ণিত فَانْتَهَى النَّاسُ..... শেষ পর্যন্ত এ অংশটুকু আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর বক্তব্য নয়। বরং তা যুহরী (রহঃ)-এর বক্তব্য যা হাদীসের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ তাঁর সুনানে তা বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে যে, ইমাম আওযা‘ঈ যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন, যুহরী বলেনঃ মুসলিমগণ এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করে ফলে তারা জেহরী সালাতে তার সাথে কিছু পাঠ করতো না। কিভাবেই বা তা আবূ হুরাইরাহ্’র বক্তব্য হতে পারে যেখানে তিনি স্বয়ং ফাতাওয়া দিতেন যে, ইমাম স্বরবে বা নীরবে যেভাবেই ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ করুক মুক্তাদীগণ নীরবে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পাঠ করবে এবং তিনি তা পাঠ করার আদেশ দিতেন।