৮০৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন

৮০৪-[১৫] রিফা’আহ্ ইবনু রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মসজিদে এসে সালাত আদায় করলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে সালাম জানালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, তুমি আবার সালাত আদায় কর। তোমার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হয়নি। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! কিভাবে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবো তা আমাকে শিখিয়ে দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)মুখী হয়ে প্রথমে তাকবীর বলবে। তারপর সূরাহ্ ফাতিহা পাঠ করবে। এর সাথে আর যা পারো (কুরআন থেকে) পড়ে নিবে। তারপর রুকূ’ করবে। (রুকূ’তে) তোমার দু’ হাতের তালু তোমার দু’ হাঁটুর উপর রাখবে। রুকূ’তে প্রশান্তিতে থাকবে এবং পিঠ সটান সোজা রাখবে। রুকূ’ হতে উঠে পিঠ সোজা করে মাথা তুলে দাঁড়াবে যাতে হাড়গুলো নিজ নিজ জায়গায় এসে যায়। তারপর সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। সাজদায় প্রশান্তির সাথে থাকবে।[1]

(হাদীসের মূল পাঠ মাসাবীহ থেকে গৃহীত। এ হাদীসটি আবূ দাঊদ সামান্য শাব্দিক পার্থক্যসহ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী, নাসায়ীও প্রায় অনুরূপ বর্ণনা করেছেন)। তিরমিযীর বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সালাতের জন্য দাঁড়াতে ইচ্ছা করলে আল্লাহ যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে। এরপর কালিমাহ্ শাহাদাত পাঠ করবে। ’ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বলবে (সালাত শুরু করবে)। তোমার কুরআন জানা থাকলে তা পড়বে, অন্যথায় আল্লাহর ’হামদ’, তাকবীর, তাহলীল করবে। তারপর রুকূ করবে।[2]

وَعَن رِفَاعَة بن رَافع قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعِدْ صَلَاتَكَ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ» . فَقَالَ: عَلِّمْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أُصَلِّي؟ قَالَ: «إِذَا تَوَجَّهَتْ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَقْرَأَ فَإِذَا رَكَعَتْ فَاجْعَلْ رَاحَتَيْكَ عَلَى رُكْبَتَيْكَ وَمَكِّنْ رُكُوعَكَ وَامْدُدْ ظَهْرَكَ فَإِذَا رَفَعْتَ فَأَقِمْ صُلْبَكَ وَارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَرْجِعَ الْعِظَامُ إِلَى مَفَاصِلِهَا فَإِذَا سَجَدْتَ فَمَكِّنِ السُّجُودَ فَإِذَا رَفَعْتَ فَاجْلِسْ عَلَى فَخِذِكَ الْيُسْرَى ثُمَّ اصْنَعْ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَسَجْدَةٍ حَتَّى تَطْمَئِنَّ. هَذَا لَفَظُ» الْمَصَابِيحِ . وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدُ مَعَ تَغْيِيرٍ يَسِيرٍ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مَعْنَاهُ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلتِّرْمِذِيِّ قَالَ: «إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَتَوَضَّأْ كَمَا أَمَرَكَ اللَّهُ بِهِ ثُمَّ تَشَهَّدْ فَأَقِمْ فَإِنْ كَانَ مَعَكَ قُرْآنٌ فَاقْرَأْ وَإِلَّا فَاحْمَدِ اللَّهَ وَكَبِّرْهُ وَهَلله ثمَّ اركع»

وعن رفاعة بن رافع قال: جاء رجل فصلى في المسجد ثم جاء فسلم على النبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «اعد صلاتك فانك لم تصل» . فقال: علمني يا رسول الله كيف اصلي؟ قال: «اذا توجهت الى القبلة فكبر ثم اقرا بام القران وما شاء الله ان تقرا فاذا ركعت فاجعل راحتيك على ركبتيك ومكن ركوعك وامدد ظهرك فاذا رفعت فاقم صلبك وارفع راسك حتى ترجع العظام الى مفاصلها فاذا سجدت فمكن السجود فاذا رفعت فاجلس على فخذك اليسرى ثم اصنع ذلك في كل ركعة وسجدة حتى تطمىن. هذا لفظ» المصابيح . ورواه ابو داود مع تغيير يسير وروى الترمذي والنساىي معناه. وفي رواية للترمذي قال: «اذا قمت الى الصلاة فتوضا كما امرك الله به ثم تشهد فاقم فان كان معك قران فاقرا والا فاحمد الله وكبره وهلله ثم اركع»

ব্যাখ্যা: এ লোক সংক্ষিপ্ত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন যে সালাতে রুকূ‘ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পরিপূর্ণ করা হয়নি।

এ হাদীস সুস্পষ্ট প্রমাণ করে যে, রুকূ' সাজদায় সোজা হয়ে দাঁড়ানো, বসা ফরয। কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ পুনরায় সালাত আদায়ের। তিনি আর কিছু বলেননি। এটা শর্তহীন নির্দেশ। আর শর্তহীন নির্দেশ ফরয সাব্যস্ত করে। কেননা পুনরায় সালাত আদায় প্রয়োজন হয় সালাত ফাসিদ হওয়ার কারণে।

তোমাকে কুরআন থেকে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ বাদে আল্লাহ তা‘আলা দান করছেন তা পড়ো যা এ হাদীসে প্রমাণ রয়েছে যে, সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ ছাড়া যা কিছু বাড়তি ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া আবশ্যক।

যা তোমার কাছে সহজ হয়। এ থেকে এই দলীল গ্রহণ করা যায় যে, ফাতিহাহ্ পড়ার পর কুরআন হতে আরো কিছু পড়তে হবে। সূরাহ্ ফাতিহাহ্ অবশ্যই পড়তে হবে। কারণ এটা ছাড়া সালাত হবে না।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)