পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯৮-[৯] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মানুষদেরকে হুকুম দেয়া হতো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী যেন সালাতে তার ডান হাত বাম যিরা-এর উপর রাখে। (বুখারী)[1]
بَابُ صِفَةِ الصَّلَوةِ
وَعَن سهل بن سعد قَالَ: كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُونَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
আলবানী (রহঃ) বলেনঃ আবূ দাঊদ, নাসায়ীতে বর্ণিত ওয়ায়িল ইবনু হূজর-এর হাদীসে রয়েছে তিনি (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ডান হাত বাম হাতের কাফ, রুযগ ও সায়দ বা হাতের আঙ্গুল থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো হাতের উপর রাখতেন। আর পদ্ধতির দাবী হলো হাতটি বুকের উপর বাঁধতে হবে অন্য কোথাও এভাবে বাঁধা যাবে না। আর একটি বিষয় জানা জরুরী যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বক্ষ ব্যতীত অন্য কোথাও হাত বাঁধার কোন সহীহ প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে নাভীর নিচে হাত বাধার ব্যাপারে যে বর্ণনাটি এসেছে তা দুর্বল।
ব্যাখ্যা: (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখলেন) অর্থাৎ- হাতের কনুই’র কিনারা হাতের মধ্যমা আঙ্গুলের কিনারা বরাবর রাখতেন। ‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, আহমাদ গ্রন্থে ওয়ায়িল-এর হাদীসের বর্ণনায়। অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান হাতকে তার বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি বাজুর উপর রাখলেন। এর মর্মার্থ তিনি ডান হাতকে এভাবে রাখতেন যে, ডান হাতের তালুর মাঝখান কব্জির উপর থাকতো, ডান হাতের কিছু অংশ বাম হাতের তালুর উপর থাকা আবশ্যক হয়ে যেত। কিছু অংশ বাম হাতের বাজুর উপরে থাকতো। কেউ কেউ বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাত অন্য হাতের উপর রাখতেন। আবার কেউ কেউ বলেন, হাত বাজুর উপর রাখতেন।
ওয়ায়িল-এর হাদীসঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন ডান হাতকে বাম হাতের উপর ধারণ করতেন। কাবীসাহ্ ইবনু হাল্লাব-এর হাদীস তিনি বলেনঃ ‘‘রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ইমামতি করতেন, অতঃপর তিনি বাম হাতকে ডান হাত দিয়ে ধারণ করতেন।
ওয়ায়িল-এর হাদীসঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান হাতকে বাম তালুর কব্জির ও বাজুর উপর রাখতেন। অর্থাৎ- নিশ্চয়ই তিনি এক হাত অন্য হাতের উপরে রাখতেন ও বাজুর উপরে রাখতেন। তবে ক্বওমা অর্থাৎ- রুকূ‘ থেকে মাথা উঠানোর পর হাত বাধা কোন সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়নি।