পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাত্র (সতর)
৭৫৯-[৬] ’উক্ববাহ ইবনু ’আমির (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রেশমের একটি আলখেল্লা (পোশাক) হাদিয়্যাহ্ দেয়া হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা পরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং সালাত শেষে তা যেন অত্যন্ত অপছন্দনীয়ভাবে শরীর থেকে খুলে ফেললেন। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এরূপ পোশাক মুত্তাক্বীদের পরিধান করা ঠিক নয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ السَّتْرِ
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُّوجَ حَرِيرٍ فَلَبِسَهُ ثُمَّ صَلَّى فِيهِ ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَزَعَهُ نَزْعًا شَدِيدًا كَالْكَارِهِ لَهُ ثمَّ قَالَ: لَا يَنْبَغِي هَذَا لِلْمُتقين
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি রেশমের কা‘বা (লম্বা আস্তিন বিশিষ্ট ঢিলেঢালা আলখেল্লা অনারবদের পোশাক) উপহার দেয়া হয়েছিল। এটা দিয়েছিল দাওমার (আলেকজান্দ্রিয়া) বাদশাহ আকাইদার ইবনু ‘আবদুল মালিক। অতঃপর রেশমী কাপড় বা পোশাক পুরুষদের জন্য হারাম হওয়ার পূর্বে একদা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটা পরিধান করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন।
জাবির (রাঃ) ইবনু মুসলিম থেকে বর্ণিত হাদীসে দেখা যায়, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমের আলখেল্লা পরে একদিন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। অতঃপর সেটা খুলে ফেললেন এবং বললেন, জিবরীল (আঃ) আমাকে এটা পরতে নিষেধ করেছেন। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, রেশমী কাপড় পরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছিলেন রেশমী পরা পুরুষদের জন্য হারাম হওয়ার পূর্বে। জিবরীল (আঃ) এর নিষেধাজ্ঞাই তার জামা খুলে ফেলার কারণ। আর এ ঘটনা ছিল হারাম ঘোষণার শুরু।
মু’মিনদের জন্য রেশমী বস্ত্র ব্যবহার করা বৈধ নয়।