পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩৮-[৫০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতটি জায়গায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (১) আবর্জনা ফেলার জায়গায়, (২) জানোয়ার যাবাহ করার জায়গায় (কসাইখানায়), (৩) কবরস্থানে, (৪) রাস্তার মাঝখানে, (৫) গোসলখানায়, (৬) উট বাঁধার জায়গায় এবং (৭) বায়তুল্লাহ’য় [খানায়ে কা’বার] ছাদে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلَّى فِي سَبْعَةِ مَوَاطِنَ: فِي الْمَزْبَلَةِ وَالْمَجْزَرَةِ وَالْمَقْبَرَةِ وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ وَفِي الْحَمَّامِ وَفِي مَعَاطِنِ الْإِبِلِ وَفَوْقَ ظَهْرِ بَيْتِ اللَّهِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: এসব স্থানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নিষিদ্ধে ত্বহারাতগত, মনোগত ও পরিবেশগত কারণ রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। সালাতে অন্তরের রুজু‘ হওয়া, বিনয়নম্রতা আনয়ন করা, শুচিস্নিগ্ধতাবোধ উপলব্ধি করার বিষয়গুলোর প্রতি শারী‘আত গুরুত্ব প্রদান করে। ময়লা ফেলার স্থান বা এর আশপাশ, কসাইখানার মতো স্থান যেখানে যাবাহকালীন নিষ্ঠুরতার প্রকাশ ঘটে; রক্ত ময়লা নির্গত হয়, গোসলখানায় তো ওয়াস্ওয়াসার বাড়াবাড়ি থাকে, পরিবেশগত আনুকূল্য থাকে না, শরীর উলঙ্গ করারও অনুমতি রয়েছে এমন স্থান; চলাচলের রাস্তায় মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করা এবং মুসল্লীর অন্তরকে বারংবার বিঘ্নিত করতে পারে- তাই এসব স্থানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) না হওয়া সাধারণ বিবেচনাতেই উপলব্ধি করা যায়। আর উট বাঁধার স্থানে ময়লা আবর্জনা ও পূঁজগন্ধ থাকে বিধায় সালাতের শান বজায় থাকে না। সবশেষে কা‘বার ছাদে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলে একদিকে যেমন এই পবিত্র ঘরকে অসম্মানিত করা হয়, অন্যদিকে ক্বিবলামুখী হবার বিষয়েও সমস্যা হয়।
উল্লেখ্য যে, এ হাদীস যদি সহীহ হতো তাহলে বর্ণিত সাত স্থানে সালাত আদায় হারাম হতো। তবে এ হাদীসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে কথা রয়েছে। কিন্তু কবরস্থানে ও গোসলখানায় সালাত আদায় নিষিদ্ধ হওয়া সহীহ সূত্রে প্রমাণিত।