পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭৩২-[৪৪] ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহঃ) তার পিতা হতে, তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করতে, ক্রয়-বিক্রয় করতে এবং জুমু’আর দিন জুমু’আর সালাতের পূর্বে গোল হয়ে বৃত্তাকারে বসতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ ও তিরমিযী)[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ تَنَاشُدِ الْأَشْعَارِ فِي الْمَسْجِدِ وَعَنِ الْبَيْعِ وَالِاشْتِرَاءِ فِيهِ وَأَنْ يَتَحَلَّقَ النَّاسُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فِي الْمَسْجِدِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের মধ্যে কবিতা পাঠ বলতে ঐসব কবিতা পাঠ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে একজন অপরের ওপর গর্ব অহংকার প্রকাশ পায় কৌতুক বা হাস্যরস। কবিতা পাঠ নিন্দিত। অপরদিকে কবিতা পাঠ দ্বারা যদি সত্য ও সত্যপন্থীদের প্রশংসা করা হয় কিংবা বাতিল অথবা মিথ্যার নিন্দা করা হয় অথবা দীনের মূলনীতিসমূহ সহজ করে উপস্থাপন করা হয় তাহলে তা নিন্দিত নয়। যদিও এর মধ্যে প্রেমকাব্য থাকে। এ রকম বৈধ কবিতা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পাঠ করা হলে তিনি নিষেধ করতেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জানতেন যে, এর উদ্দেশ্য ভালো। এখানে কবিতা পাঠ দ্বারা কবিতার মাধ্যমে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করা বুঝানো হয়েছে। এ ধরনের কবিতা গোলমাল, চিৎকার বা হৈচৈ সৃষ্টি করে, যা মসজিদের সম্মানকে নষ্ট করে।
দ্বিতীয়ত মসজিদের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় হারাম। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, অধিকাংশ ‘আলিমের মতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই নিষেধাজ্ঞা দ্বারা মাকরূহ (অপছন্দনীয়) বুঝানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম হওয়াই বুঝায়। আর এটাই সত্য কথা।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আর দিনে জুমু‘আর সালাতের পূর্বে মসজিদে বৃত্তাকারে বসতে নিষেধ করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞা জুমু‘আর দিন জুমু‘আর সালাতের পূর্বে মসজিদে গোল হয়ে বসা হারাম প্রমাণের দলীল। এখানে জুমু‘আর সালাতের পূর্বের সময়কে নির্দিষ্ট করার অর্থ হ’ল ঐ সালাতের পরে জ্ঞান ও যিকিরের (জিকিরের) জন্য বসা বৈধ। এছাড়া জুমু‘আর দিনকে নির্দিষ্ট করার দ্বারা অন্য দিনগুলোতে ঐ কাজের বৈধতার প্রমাণ পাওয়া যায়।