৭২৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭২৮-[৪০] উক্ত রাবী [আবূ উমামাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর হতে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার জন্য বের হয়েছে তার সাওয়াব একজন ইহরাম বাঁধা হাজির সাওয়াবের সমান। আর যে ব্যক্তি সালাতুয্ যুহার জন্য বের হয়েছে আর এই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ব্যতীত অন্য কোন জিনিস তাকে এদিকে ধাবিত করে না সে সাওয়াব পাবে একজন ’উমরাহকারীর সমান। এক সালাতের পর অপর সালাত আদায় করা, যার মাঝখানে কোন বেহুদা কথা বলেনি তা ’’ইল্লিয়্যিন’’-এ লেখা হয়ে থাকে। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلَاةٍ مَكْتُوبَة فَأَجره كَأَجر الْحَاج الْمُحْرِمِ وَمَنْ خَرَجَ إِلَى تَسْبِيحِ الضُّحَى لَا يُنْصِبُهُ إِلَّا إِيَّاهُ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْمُعْتَمِرِ وَصَلَاةٌ عَلَى إِثْرِ صَلَاةٍ لَا لَغْوَ بَيْنَهُمَا كِتَابٌ فِي عليين» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من خرج من بيته متطهرا الى صلاة مكتوبة فاجره كاجر الحاج المحرم ومن خرج الى تسبيح الضحى لا ينصبه الا اياه فاجره كاجر المعتمر وصلاة على اثر صلاة لا لغو بينهما كتاب في عليين» . رواه احمد وابو داود

ব্যাখ্যা: কোন মুহরিম হাজী মীকাতের দিকে গেলে তার সাওয়াব যেমনিভাবে পূর্ণতর হয়, তেমনি কোন ব্যক্তি পবিত্রাবস্থায় তার ঘর থেকে বের হয়ে সালাতের দিকে গেলে তার সাওয়াবও ফাযীলাতপূর্ণ হয়।

ইহরামধারী হাজীর ন্যায় ফরয সালাতের সংকল্পকারীরও অধিক ফাযীলাত রয়েছে। সেই সাথে রুকূ‘কারীদের সাথে রুকূ‘ করা তথা জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য উৎসাহ দান করা হয়েছে।

এখানে ফরয সালাতের ফাযীলাতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ ফাযীলাত নফল সালাতে নেই। ফরয এবং নফল উভয় সালাতের জন্য বের হবার মধ্যে ফাযীলাত হলো হাজ্জ (হজ/হজ্জ) ও ‘উমরার ফাযীলাতের মতো।

এ হাদীস দ্বারা এটাও প্রমাণ করে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজরের (ফজরের) শেষে সূর্যোদয় পর্যন্ত সালাতের স্থানে বসে থাকতেন। অতঃপর তিনি দুই রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। অবস্থানকালীন সময়ে উত্তম কথা ব্যতীত কোন কথা না বললে তাহলে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। সফর হতে ফেরার পথে গৃহে প্রবেশের পূর্বে মসজিদে দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ।

দিনে বা রাতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে পরবর্তী সালাতের জন্য অপেক্ষা করাকালে কোন বেহুদা কথা বলা ও কাজ করা না হলে ঐ ‘আমল ‘ইল্লিয়্যিনে লেখা হয়ে থাকে। এটা সপ্তাকাশে অবস্থিত লিখিত ফলক। মু’মিনের সৎ ‘আমল নিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী মালায়িকাহ্ সেখানে আরোহণ করেন। এটা সর্বোচ্চ স্থান ও সর্বোচ্চ মর্যাদাময় স্তর।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)