৭২০

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭২০-[৩২] উক্ত রাবী (আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সামনে আমার উম্মাতের সাওয়াবগুলো পেশ করা হয়, এমনকি একটি খড়-কুটার সাওয়াবও পেশ করা হয় যা একজন মানুষ মাসজিদ হতে বাইরে ফেলে দেয়। ঠিক একইভাবে আমার সামনে পেশ করা হয় আমার উম্মাতের গুনাহসমূহ। তখন আমি কারও কুরআনের একটি সূরাহ্ বা একটি আয়াত যা তাকে দেয়া হয়েছে (তারপর ভুলে গেছে, মুখস্থ করার পর তা ভুলে যাওয়া) এর চেয়ে আর কোন বড় গুনাহ আমি দেখিনি। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «عُرِضَتْ عَلَيَّ أُجُورُ أُمَّتِي حَتَّى الْقَذَاةُ يُخْرِجُهَا الرَّجُلُ مِنَ الْمَسْجِدِ وَعُرِضَتْ عَلَيَّ ذُنُوبُ أُمَّتِي فَلَمْ أَرَ ذَنْبًا أَعْظَمَ مِنْ سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ أَوْ آيَةٍ أُوتِيهَا رَجُلٌ ثُمَّ نَسِيَهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد

وعن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «عرضت علي اجور امتي حتى القذاة يخرجها الرجل من المسجد وعرضت علي ذنوب امتي فلم ار ذنبا اعظم من سورة من القران او اية اوتيها رجل ثم نسيها» . رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ (عُرِضَتْ عَلَيَّ) ‘‘আমার নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে’’ সম্ভবত এ উপস্থাপনাটি মি‘রাজের রাতে হয়েছিল।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ (أُجُوْرُ أُمَّتِىْ) তাদের ‘আমলের সাওয়াব।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ (حَتَّى الْقَذَاةُ) অর্থাৎ- কংকর পরিমাণ এবং সেটা হলো এমন জিনিস যা মাটি খড়কুটা এবং ময়লা যা সাধারণ চোখে পড়ে।

এখানে উদ্দেশ্য হলো সামান্য বস্তু যা মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয় হোক না তা খড়কুটা বা ময়লা অথবা অন্য কোন বস্তু। কোন ব্যক্তি মাসজিদ থেকে যা কিছু বের করে যদিও তা কম হয় তবুও এ ক্ষেত্রে প্রতিদান রয়েছে। কেননা মাসজিদ থেকে কোন কিছু বের করার মধ্যে আল্লাহর ঘর পরিচ্ছন্ন করা হয়।

হাদীসের মর্মার্থ হতে বুঝা যায় যে, মসজিদে আবর্জনা বা ময়লা প্রবেশ করানো পাপ কাজের অন্তর্ভুক্ত।

গুনাহে কাবীরাহ্ (কবিরা) এর বিশ্লেষণঃ কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহের অধ্যায়ের মধ্যে অর্থাৎ- ‘‘আল্লাহর নিকট কোন গুনাহ সবচেয়ে বড় এর জবাবে শির্ককে বড় গুনাহ বলা হয়েছে।’’ এখানে সূরাকে ভুলে যাওয়া কিভাবে أَعْظَمُ الذُّنُوْبُ তথা বড় গুনাহ বলা হলো?

এর উত্তর এই যে, যদি أَعْظَمُ এবং اَكْبَرُ উভয় শব্দকে প্রতিশব্দ হিসেবে মেনে নেয়া হয় তাহলে উত্তরে বলা যাবে সূরাকে ভুলে যাওয়া أَعْظَمُ (বড় গুনাহ) বলা আহকামের দৃষ্টিতে সঠিক। তার ভুলে যাওয়াটা চেষ্টার ত্রুটির কারণে।

অথবা বলা যায় যে, ভুলে যাওয়াটা যদি কুরআনের প্রতি স্বল্প মর্যাদা বা তাকে হালকাভাবে গ্রহণ করার ভিত্তিতে না হয় তাহলে সূরাকে ভুলে যাওয়া সগীরাহ্ গুনাহের মধ্যে أَعْظَمُ

ইমাম ত্বীবী বলেন, পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ বা সূরাহ্ মুখস্থ করার শক্তি লাভ করা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং সে যেন এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আর যখন সে তা ভুলে গেল সে নি‘আমাতের অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। সুতরাং এ দৃষ্টিভঙ্গিতে أَعْظَمُ جُرْمًا বড় অপরাধ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)