পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৩-[৪] উক্ত রাবী [মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেনঃ তোমরা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে যেভাবে আমাকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখছো। সালাতের সময় হলে তোমাদের মধ্যে একজন আযান দিবে। এরপর তোমাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সে তোমাদের সালাতের ইমামাত করবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي فَإِذا حضرت الصَّلَاة فليؤذن لكم أحدكُم وليؤمكم أكبركم»
ব্যাখ্যা: এ হাদীসটিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, সালাতের প্রতিটি শর্ত, বিধি-বিধান, সুন্নাত এবং নিয়মাবলী যেভাবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করেছেন ঠিক সেভাবে পালন করতে হবে। সালাত আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘ইবাদাত। সেই সালাত কিভাবে আদায় করতে হবে তা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। এজন্য প্রত্যেক ব্যক্তিই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিখিয়ে দেয়া নিয়মানুযায়ী সালাত আদায় করবে। এ হাদীসে আরো বর্ণনা করা হয়েছে যে, বয়স্ক ব্যক্তি ইমামতি করবে। যদিও নিয়ম হলো, যার কুরআন পড়া বেশী শুদ্ধ এবং যিনি ‘আলিম তিনিই ইমামতিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তবে এক্ষেত্রে যদি সবাই সমান হয় তবে তাদের মধ্যে যার বয়স বেশী তিনিই অগ্রাধিকার পাবেন।
‘আল্লামা শাওকানী বলেন, এ হাদীসটি এ কথা প্রমাণ করে যে, সালাতের বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা ও কাজ থেকে যা প্রমাণিত হয়েছে তা অনুসরণ করা ওয়াজিব। যেহেতু সালাতের ক্ষেত্রে কুরআনের নির্দেশ اَقِيْمُوا الصَّلَوةَ অর্থাৎ- সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বায়িম কর। এটা হচ্ছে মুজমাল বা অস্পষ্ট নির্দেশ। সালাত আদায়ের বিস্তারিত পদ্ধতি কুরআনে আলোচনা করা হয়নি। বিধায় এ ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক যে সকল নিয়ম-কানুন বর্ণিত হয়েছে এসবের অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।