৬৮১

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান

৬৮১-[২] সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিলালের আযান ও সুবহে কাযিব তোমাদেরকে সাহরী খাওয়া হতে যেন বিরত না রাখে। কিন্তু সুবহে সাদিক যখন দিগন্তে প্রসারিত হয় (তখন খাবার-দাবার ছেড়ে দেবে)। (মুসলিম, শব্দগুলো তিরমিযী’র)[1]

بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ

وَعَن سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَمْنَعَنَّكُمْ مِنْ سُحُورِكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ وَلَا الْفَجْرُ الْمُسْتَطِيلُ وَلَكِنِ الْفَجْرُ الْمُسْتَطِيرُ فِي الْأُفق» رَوَاهُ مُسلم وَلَفظه لِلتِّرْمِذِي

وعن سمرة بن جندب قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يمنعنكم من سحوركم اذان بلال ولا الفجر المستطيل ولكن الفجر المستطير في الافق» رواه مسلم ولفظه للترمذي

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মাতকে বলেছেন যে, বিলালের আযান যেন সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কারণ, বিলাল (রাঃ) লোকজনকে জাগানোর জন্য যখন আযান দিতেন তখন সুবহে সাদিক হতো না। এ সময়টাকে সুবহে কাযিব বলা হয়। সুবহে কাযিব দূরীভূত হওয়ার পর সুবহে সাদিক হয়। সুবহে সাদিক না হলে যেহেতু ফাজরের (ফজরের) সময় হয় না, তাই সায়িমের (রোযাদারের) ওপর তখন খাওয়া ও পান করা নিষিদ্ধ নয়।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী- (المُسْتَطِيْرُ فِي الْأُفُقِ) (সহীহ; জামি‘ আত্ তিরমিযী- হাঃ ৭০৬)। সেটা হচ্ছে- যার আলোটি ছড়িয়ে যায় এবং পূর্ব দিগন্তে আড়াআড়িভাবে ভেসে উঠে। মনে হয় সেটা আকাশের প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছে। হাদীসের মাঝে ফাজরের (ফজরের) বর্ণনা দেয়া হয়েছে যার সাথে আহকামের সম্পর্ক রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)