পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৭-[২৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুয়াযযিনকে, ’’আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’’ ও ’’আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্ল-হ’’ বলতে শুনতেন তখন বলতেন, ’আনা আনা’ (’আর আমিও’ ’আর আমিও’) অর্থাৎ- আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَمِعَ الْمُؤَذِّنَ يَتَشَهَّدُ قَالَ: «وَأَنَا وَأَنَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: উল্লিখিত হাদীসে মুয়াযযিনকে শোনা দ্বারা মুয়াযযিনের আযান শোনাকে বুঝানো হয়েছে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযানের মধ্যে যখন শাহাদাতের কালিমাহ্ শোনতেন, তখন দুইবার ‘আনা আনা’ শব্দ উচ্চারণ করতেন। এর দ্বারা তিনি আল্লাহর একত্ববাদ এবং তাঁর নিজের রিসালাতের সাক্ষ্য ঘোষণা দিতেন। আর এর দ্বারা তাওহীদের সাক্ষ্যের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। ইমাম ত্বীবী বলেন, এ হাদীস দ্বারা এ কথা স্পষ্টভাবে জানা গেল যে, সকল উম্মাতের ন্যায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তাঁর রিসালাতের সাক্ষ্য দানের জন্য আদিষ্ট ছিলেন।