পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭০-[১৭] আবূ উমামাহ্ অথবা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন সাহাবী বলেন, একবার বিলাল (রাঃ)ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দিতে শুরু করলেন। তিনি যখন ’’ক্বদ্ ক্ব-মাতিস্ সলা-হ্’’ বললেন, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আক্ব-মাহাল্ল-হু ওয়া আদা-মাহা-’’ (আল্লাহ সালাতকে ক্বায়িম করুন ও একে চিরস্থায়ী করুন)। বাকী সব ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ে ’উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে আযানের উত্তরে যেরূপ উল্লেখ রয়েছে সেরূপই বললেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَوْ بَعْضِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ بِلَالًا أَخَذَ فِي الْإِقَامَةِ فَلَمَّا أَنْ قَالَ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقَامَهَا اللَّهُ وَأَدَامَهَا» وَقَالَ فِي سَائِر الْإِقَامَة: كنحو حَدِيث عمر رَضِي الله عَنهُ فِي الْأَذَان. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
বিঃ দ্রঃ যখন হাদীসটির দুর্বলতা প্রমাণিত হয়ে যায় তখন সে হাদীসের প্রতি দু’টি কারণে ‘আমল করা যাবে না। প্রথমত হাদীসটি ফাযীলাত সংক্রান্ত নয় কারণ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ -এর সময় أَقَامَهَا اللّهُ وَأَدَامَهَا বলা শারী‘আতসম্মত নয় এবং অন্য কোন হাদীসে এর ফাযীলাত বর্ণিত হয়নি যে, বলা হবে এটি ফাযীলাত সংক্রান্ত ‘আমল যার প্রতি ‘আমল করা যাবে। পক্ষান্তরে এটিকে কেবলমাত্র এ ধরনের দুর্বল হাদীস দ্বারা প্রমাণিত করে শারী‘আত সম্মত করাটা শারী‘আতের নীতির অনেক দূরবর্তী বিষয় যা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত এটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাপক উক্তির পরিপন্থী। যেখানে তিনি বলেছেন যখন তোমরা মুয়াযযিনকে আযান বা ইক্বামাত বলতে শুনবে তখন তোমরা তার মতো বলো.....। তাই হাদীসটি তার ব্যাপকতার উপর রাখাটাই আবশ্যক। অতএব, আমরা ইক্বামাতের সময় قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ বলব।
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা ইক্বামাতের উত্তর দেয়ার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যায়। ইক্বামাতের উত্তর দেয়ার সময় ইক্বামাত দাতা যা বলবেন উত্তরদাতাও তাই বলবেন। তবে দুই হাইয়্যা......... বলার সময় বলতে হবে লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ। তা ছাড়া মুয়াযযিন যখন ক্বদ্ ক্ব-মাতিস সলা-হ্ বলবেন তার উত্তরে বলতে হবে ‘‘আক্ব-মাহাল্লা-হু ওয়া আদামাহা-’’। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ এই সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করুন এবং স্থায়ী রাখুন। এ হাদীস দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, ইক্বামাত দাতা যখন ইক্বামাত শেষ করবেন তখনই ইমাম সাহেব তাকবীর দেবেন।