৬৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৬৬-[১৩] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তিন ধরনের ব্যক্তি ’মিস্কের’ টিলায় থাকবে। প্রথম সেই গোলাম, যে আল্লাহর হক আদায় করে নিজ মুনীবের হকও আদায় করেছে। দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি, যে মানুষের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করায়, আর মানুষরা তার উপর খুশী। আর তৃতীয় হলো সেই ব্যক্তি, যে দিনরাত সব সময় পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জন্য আযান দিয়েছে। (তিরমিযী হাদীসটি গারীব বলেছেন)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثَةٌ عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَبَدٌ أَدَّى حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوْلَاهُ وَرَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ بِهِ راضون وَرجل يُنَادي بالصلوات الْخمس فِي كُلَّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ثلاثة على كثبان المسك يوم القيامة عبد ادى حق الله وحق مولاه ورجل ام قوما وهم به راضون ورجل ينادي بالصلوات الخمس في كل يوم وليلة» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীসে ঐসব ব্যক্তিদের ফাযীলাত ও গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে যারা আল্লাহ এবং স্বীয় মুনীবের হক আদায় করে। এমন ব্যক্তি যে কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে ইমামতি করে আর সম্প্রদায়ের লোকেরা তার উপর সন্তুষ্ট এবং এমন ব্যক্তি যে দিনে রাতে পাঁচবার মানুষদেরকে সালাতের দিকে আহবান করে। আর এসব ব্যক্তি ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে কস্তুরীর স্তুপের উপর অবস্থান করবে।

এমন বান্দা যে আল্লাহর হক আদায় করে। এখানে আল্লাহর হক বলতে বুঝানো হয়েছে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে নেয়া, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা বরং একনিষ্ঠভাবে তাঁর ‘ইবাদাতে নিজেকে নিয়োজিত রাখা।

আর মুনীবের হক বলতে বুঝানো হয়েছে, পার্থিব জীবনে ব্যক্তি যার তত্ত্বাবধানে থাকবে তার প্রয়োজন মিটানো।

এমন ইমাম, মুক্তাদীগণ যার ওপর খুশী। এর অর্থ হলো ইমামের জ্ঞান, দায়িত্ববোধ ও ‘ইলমে ক্বিরাআতের বিশুদ্ধতার জন্য মুক্তাদীগণ খুশী। আসলে একজন ইমামের মধ্যে শারী‘আতের জ্ঞান মজবুতভাবে না থাকলে সে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে না। আবার তার মধ্যে যদি দায়িত্ববোধ না থাকে তাহলে সে সালাতে সময়মত উপস্থিত হতে পারবে না এবং ইমামের ‘ইলমে ক্বিরাআত (কিরআত) শুদ্ধ না হলে সালাতও শুদ্ধ হবে না। সুতরাং একজন ইমামের এ গুণগুলো থাকা আবশ্যক। আর যে সকল মুয়াযযিন ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে মানুষদেরকে দৈনিক পাঁচবার সালাতের দিকে আহবান করে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন অন্যান্য মানুষের ওপর তাদেরকে মর্যাদা দানের জন্য মিস্‌কের স্তুপের উপর দাঁড় করিয়ে রাখবেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)