পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৪৬-[৬] বিলাল (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ ফজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ব্যতীত কোন সালাতেই ’তাসবীব’ করবে না। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ بِلَالٍ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُثَوِّبَنَّ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ إِلَّا فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: أَبُو إِسْرَائِيلَ الرَّاوِي لَيْسَ هُوَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ عِنْدَ أهل الحَدِيث
ব্যাখ্যা: তাসবীব تَثْوِيْبٌ অর্থ হলো কোন সংবাদ দেয়ার পর সংবাদ দেয়া বা বিজ্ঞপ্তি জানানোর পর বিজ্ঞপ্তি জানানো। তাসবীব বলতে সাধারণত ইক্বামাতকে বুঝানো হয়, যা আযানের পরে আসে। (আযান দ্বারা একবার সালাতের সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। অতঃপর ইক্বামাত দ্বারা আবার সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তাই তাসবীব বলা হয়েছে।) তাসবীব বলতে ফাজরের (ফজরের) আযানে ‘‘আস্ সলা-তু খয়রুম্ মিনান্ নাওম’’ বলা বুঝানো হয়। এ দু’টি অর্থই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত অর্থ। তবে মানুষেরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের পরে আযান এবং ইক্বামাতের মাঝে তৃতীয় আরেকটি সংবাদ প্রচারকে নতুন করে চালু করেছে। (যা বিদ্‘আত এবং অবশ্যই বর্জনীয়)
বিলাল (রাঃ)-এর এ হাদীসে তাসবীব বলতে ফাজরের (ফজরের) সালাতে মুয়াযযিনের ‘‘আস্ সলা-তু খয়রুম্ মিনান্ নাওম’’ বলাকে বুঝানো হয়েছে। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শুধু ফজরের (ফজরের) সালাতে ‘‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ’’ বাক্যের পরে ‘‘আস্ সলা-তু খয়রুম মিনান্ নাওম’’ বাক্য বলা সুন্নাত। যেমনটি পূর্বের আবূ মাহযূরাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।