৬২২

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬২২-[৩৬] ক্ববীসাহ্ ইবনু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পর তোমাদের ওপর এমন সব শাসক নিযুক্ত হবে, যারা সালাতকে পিছিয়ে ফেলবে। যা তোমাদের জন্য কল্যাণ (মনে) হলেও তাদের জন্য অকল্যাণ ডেকে আনবে। তাই যতদিন তারা ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)হ্ (কিবলাহ/কিবলা) হিসেবে (কা’বাহ্-কে) মেনে নিবে ততদিন তাদের পিছনে তোমরা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ قَبِيصَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَكُونُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ مِنْ بَعْدِي يُؤَخِّرُونَ الصَّلَاةَ فَهِيَ لَكُمْ وَهِيَ عَلَيْهِمْ فَصَلُّوا مَعَهُمْ مَا صَلَّوُا الْقِبْلَةَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن قبيصة بن وقاص قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يكون عليكم امراء من بعدي يوخرون الصلاة فهي لكم وهي عليهم فصلوا معهم ما صلوا القبلة» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পরে তোমাদের ওপরে এমন শাসক দায়িত্বশীল হবে যারা সালাতকে তার নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে বিলম্বিত করে আদায় করবে। তখন ঐ সব সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অর্থাৎ- বিলম্বিত করা সালাত তোমাদের জন্যে এ অর্থে উপকারী হবে যে, তোমরা তাদের অনুসরণের সুযোগে সালাতকে দেরী করে নিজেদের কাজ সম্পাদন করতে পারবে। আর এটা তাদের জন্য ক্ষতিকারক হবে এজন্য যে, সালাতকে দেরী না করে আদায় করার ক্ষমতা তাদের ছিল কিন্তু আখিরাতের কাজের (সালাতের) চেয়ে দুনিয়ার কাজ তাদেরকে বেশি ব্যাস্ত রেখেছে। এমতাবস্থায় তারা যতক্ষণ বায়তুল্লাহতে অবস্থিত কা‘বাকে ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) করে সালাত আদায় করে, অর্থাৎ- মুসলিম থাকে ততক্ষণ তোমরা তাদের সাথে জামা‘আতে সালাত আদায় করো যদিও তারা সালাতকে এর ওয়াক্ত থেকে বিলম্বিত করে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)