পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়
৬১৬-[৩০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক রাতে শেষ ’ইশার সালাতের জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অপেক্ষা করছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন সময় বের হলেন, যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত অথবা এরও কিছু পর। আমরা জানি না, পরিবারের কোন কাজে তিনি ব্যতিব্যাস্ত ছিলেন, নাকি অন্য কিছু। তিনি বের হয়ে বললেন, তোমরা এমন একটি সালাতের অপেক্ষা করছো, যার জন্য অন্য ধর্মের লোকেরা অপেক্ষা করে না। আমার উম্মাতের জন্য কঠিন হবে মনে না করলে তাদের নিয়ে এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আমি এ সময়েই আদায় করতাম। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুয়ায্যিনকে নির্দেশ দিলে সে ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দিল। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করালেন। (মুসলিম)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: مَكَثْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ نَنْتَظِرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ فَخَرَجَ إِلَيْنَا حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ بَعْدَهُ فَلَا نَدْرِي أَشَيْءٌ شَغَلَهُ فِي أَهْلِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَقَالَ حِينَ خَرَجَ: «إِنَّكُمْ لَتَنْتَظِرُونِ صَلَاةً مَا يَنْتَظِرُهَا أَهْلُ دِينٍ غَيْرُكُمْ وَلَوْلَا أَنْ يَثْقُلَ عَلَى أُمَّتِي لَصَلَّيْتُ بِهِمْ هَذِهِ السَّاعَةَ» ثُمَّ أَمَرَ الْمُؤَذِّنَ فَأَقَامَ الصَّلَاة وَصلى. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: এক রাতে মসজিদে ‘ইশার সালাতের সময় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য মুসল্লীগণ অপেক্ষমাণ ছিলেন। রাতের এক-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি সময় চলে গেলে আমাদের মধ্যে আসলেন। প্রাত্যহিক অভ্যাস থেকে কোন্ জিনিস হতে তাকে বিরত রেখেছে না অন্য কিছু। হতে পারে যে, তিনি ‘‘ইশার সালাতকে বিলম্বিত করে মানুষকে রাতের প্রথমভাগ থেকে সালাতের জন্য অপেক্ষা’’ করার মতো একটি ‘ইবাদাতে মগ্ন রাখতে চেয়েছিলেন।
ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, এটা এমন এক সালাতের জন্য অপেক্ষা যা অন্য কোন ধর্মের অনুসারীরা করে না। কেননা এ সালাত (‘ইশা) শুধু এ উম্মাতের জন্য নির্দিষ্ট। এটা পূর্বে মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এ সালাতের জন্য অপেক্ষা বিশেষ মর্যাদার, অতএব তোমরা এরূপ অপেক্ষা করাকে অপছন্দ করো না। তাঁর শেষ কথায় মনে হয় ‘ইশার সালাত দেরী করে আদায়ের মধ্যে সাওয়াব থাকা সত্ত্বেও উম্মাতের জন্য কষ্টের কথা ভেবে তা’ বিধান সাব্যস্ত করেননি। অতএব সম্ভব হলে এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিলম্বিত করে আদায় করা অতি উত্তম।