৬০৩

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬০৩-[১৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে ভুলে যায় অথবা আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, তার কাফ্‌ফারাহ্ হলো যখনই তা স্মরণ হবে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নিবে।[1]

অন্য বর্ণনায় আছে, ঐ সালাত আদায় করে নেয়া ছাড়া তার কোন প্রতিকারই নেই। (বুখারী ও মুসলিম)[2]

بَابُ تَعْجِيْلِ الصَّلَوَاتِ

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهُ أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا كَفَّارَة لَهَا إِلَّا ذَلِك»

وعن انس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من نسي صلاة او نام عنها فكفارته ان يصليها اذا ذكرها» . وفي رواية: «لا كفارة لها الا ذلك»

ব্যাখ্যা: কেউ যদি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ভুলে যায় কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করে তাহলে ঐ সালাতের প্রতিকার হলো ঐ ব্যক্তির ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর স্মরণে এলে সে তা আদায় করে নিবে। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, স্মরণে আসা কিংবা ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথে পড়ে নিতে হবে। সে সময় সূর্য উদয়, অস্ত বা মাঝ বরাবর যেখানেই থাকুক। ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর এটাই মত। অন্য যে হাদীসে তিনটি সময়ে সালাত আদায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সে হাদীস সাধারণ অর্থবোধক। আর এ হাদীস বিশেষ অর্থবোধক। তাই এ দু’ হাদীসের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। এ হাদীস দ্বারা দু’টি বিষয় প্রমাণিত হয়, এক- সালাত আদায় ব্যতীত এর কোন প্রতিকার নেই। দুই- সালাত আদায় ভুলে গেলে কোন জরিমানা, অতিরিক্ত কিছু বা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) ইত্যাদি আদায় করা আবশ্যক নয়, যেমনটি সওম ছেড়ে দিলে করতে হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)