পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩১-[৬] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা (কিছু লোক) সফরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের একজন (মাথায়) পাথরের আঘাত পেল এবং তার মাথায় ক্ষত হলো। তারপর তার স্বপ্নদোষ হলে সে তার সাথী ভাইদেরকে জিজ্ঞেস করলো, এ অবস্থায় কি আমার জন্য তায়াম্মুম করার সুযোগ আছে? তারা বললেন, এ অবস্থায় (যখন পানি ব্যবহার করতে পারছো) তোমার তায়াম্মুম করার কোন সুযোগ আছে বলে মনে করি না। অতঃপর লোকটি গোসল করলো, আর এতে সে মারা গেল। আমরা সফর হতে ফিরে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। তাঁর নিকট সব ঘটনা বলা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, লোকেরা তাকে মেরে ফেলেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন। তারা যখন জানে না তখন অন্যদের কেন জিজ্ঞেস করলো না? কারণ, না জানার চিকিৎসাই হলো জানতে চাওয়া। অথচ তার জন্য তায়াম্মুম করা এবং আহত স্থানে ব্যান্ডেজ বেঁধে তার উপর মাসাহ করাই যথেষ্ট ছিল। অতঃপর নিজের সমস্ত শরীর ধুয়ে নিতে পারত।[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: خَرَجْنَا فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ رجلا منا حجر فَشَجَّهُ فِي رَأسه ثمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابه فَقَالَ هَل تَجِدُونَ لي رخصَة فِي التَّيَمُّم فَقَالُوا مَا نجد لَك رخصَة وَأَنت تقدر على الْمَاءِ فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أخبر بذلك فَقَالَ قَتَلُوهُ قَتلهمْ الله أَلا سَأَلُوا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَن يتَيَمَّم ويعصر أَو يعصب شكّ مُوسَى عَلَى جُرْحِهِ خِرْقَةً ثُمَّ يَمْسَحَ عَلَيْهَا وَيَغْسِلَ سَائِر جسده. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ভালো করে খোঁজ-খবর না নিয়ে বা না জেনে কোন বিষয়ে সমাধান দেয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে যেক্ষেত্রে মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত থাকে। আহত ব্যক্তি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে অক্ষম হলে তায়াম্মুম করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে এবং গোসল ফরয হলে তায়াম্মুম করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে। এটাও প্রমাণ হয় যে, শারী‘আতের কোন মাস্আলাহ্ না জানা থাকলে প্রশ্ন করবে।