পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪৯-[২০] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আমি ফরয গোসল করেছি এবং ফজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছি। এরপর আমি দেখলাম শরীরে নখ পরিমাণ জায়গায় পানি পৌঁছেনি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যদি এ শুকনা জায়গাটা হাত দিয়ে মুছে নিতে তাহলে তোমার জন্য সেটাই যথেষ্ট হতো। (ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَن عَليّ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي اغْتَسَلْتُ مِنَ الْجَنَابَةِ وَصليت الْفجْر ثمَّ أَصبَحت فَرَأَيْتُ قَدْرَ مَوْضِعِ الظُّفُرِ لَمْ يُصِبْهُ الْمَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتَ مَسَحْتَ عَلَيْهِ بِيَدِكَ أَجْزَأَكَ» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা উদ্দেশ হলো যদি গোসলের সময় শরীরের কোন স্থানে পানি না পৌঁছে তবে সেই সময়েই উক্ত স্থানে ভিজা হাত দ্বারা মাসাহ করলে তা যথেষ্ট হবে। এ ব্যাপারে মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন, যদি তুমি গোসলের সময় পানি না পৌঁছানোর স্থানে তোমার ভিজা হাত দ্বারা মাসাহ কর। অর্থাৎ- হালকাভাবে ধৌত কর তবে যথেষ্ট হবে। অন্যথায় শুধু ভিজা হাতের স্পর্শই যথেষ্ট নয়। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ)-এর মতে, গোসলের সময় যদি উক্ত স্থানে পানি দিয়ে মাসাহ করা হয় তবে গোসল পূর্ণ হবে। তা না হলে পরবর্তীতে নতুন করে গোসল করতে হবে এবং সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বাযা আদায় করতে হবে।