৪৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ

৪৩৪-[৫] কিন্তু ইমাম মুসলিম (রহঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-এর বর্ণনায় এ কথাগুলো বেশী বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ কথাও বলেছেন যে, সাধারণত পুরুষের বীর্য গাঢ় ও সাদা। স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা ও হলদে। উভয়ের বীর্যের মধ্যে যেটিই জয়ী হয়, অর্থাৎ- যে বীর্য আগে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে সন্তান তার সাদৃশ্য হয়।[1]

بَابُ الْغُسْلِ

وَزَادَ مُسْلِمٌ بِرِوَايَةِ أُمِّ سُلَيْمٍ: «أَنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ وَمَاءَ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ فَم أَيِّهِمَا عَلَا أَوْ سَبَقَ يَكُونُ مِنْهُ الشَّبَهُ»

وزاد مسلم برواية ام سليم: «ان ماء الرجل غليظ ابيض وماء المراة رقيق اصفر فم ايهما علا او سبق يكون منه الشبه»

ব্যাখ্যা: قوله (وَزَادَ مُسْلِمٌ بِرِوَايَةِ أُمُّ سُلَيْمٍ) ‘‘নিশ্চয়ই পুরুষের বীর্য গাঢ় সাদা এবং স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা হলুদ বর্ণের।’’ কেননা পুরুষের বীর্য কখনো রোগের কারণে পাতলা হয়। আর লাল বর্ণ হয়ে থাকে অত্যধিক সহবাসের কারণে। আবার কখনো স্ত্রীলোকের বীর্য সাদা হয় তার শক্তির শ্রেষ্ঠত্বের কারণে। সাওবান হতে মুসলিমে বর্ণনা রয়েছে পুরুষের বীর্য সাদা, আর মহিলার বীর্য হলুদ বর্ণের।

আর যখন উভয়ের বীর্য কার্যত একত্র হয় পুরুষের বীর্যের প্রাধান্য লাভ করলে আল্লাহর হুকুমে স্ত্রীলোকের বীর্যের সঙ্গে সংমিশ্রণে সন্তান পুরুষ হয়। আর যখন স্ত্রীলোকের বীর্য পুরুষের বীর্যের উপর বৃদ্ধি হয় বা প্রাধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে মেয়ে সন্তান হয়।

ছেলে-মেয়ে পিতা-মাতার আকৃতিতে সাদৃশ্যপূর্ণ হয় এটার ছয়টি অবস্থা বা কারণ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)