পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৬৮-[৩৫] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করলেন। ’উমার (রাঃ) তাঁর পেছনে পানির পাত্র নিয়ে দাঁড়ালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’উমার! এটা কী? ’উমার (রাঃ) বললেন, পানি। আপনার উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করার জন্য। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি এজন্য আদিষ্ট হইনি যে, যখনই প্রস্রাব করবো তখনই উযূ করব। যদি আমি সর্বদা এমন করি তাহলে এটা ’সুন্নাত’ হয়ে যাবে। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: بَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ عُمَرُ خَلْفَهُ بِكُوزٍ مِنْ مَاءٍ فَقَالَ: مَا هَذَا يَا عمر؟ قَالَ: مَاءٌ تَتَوَضَّأُ بِهِ. قَالَ: مَا أُمِرْتُ كُلَّمَا بُلْتُ أَنْ أَتَوَضَّأَ وَلَوْ فَعَلْتُ لَكَانَتْ سُنَّةً «.» رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: قوله (مَاءٌ تَتَوَضَّأُ بِه) ‘‘পাত্র নিয়ে এলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি? তিনি উত্তরে বললেন, এতে আপনার উযূর জন্য পানি রয়েছে’’। এখানে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) দ্বারা উযূয়ি শার‘ঈ উদ্দেশ্য নয় বরং উযূয়ি লাগবী তথা প্রস্রাবের পর পানি ব্যবহার করা উদ্দেশ হতে পারে। প্রস্রাবের পরে উযূ করা এবং সর্বাবস্থায় উযূ থাকা উত্তম হলেও কখনো কখনো উম্মাতের জন্য সহজকরণার্থে তিনি তা পরিত্যাগ করতেন। এজন্য তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রস্রাবের পর উযূ না করে বললেন আমি প্রস্রাবের পর সর্বদা উযূ করতে আদিষ্ট হয়নি।
قوله (لَوْ فَعَلْتُ لَكَانَتْ سُنَّةً) অর্থাৎ- যদি আমি প্রস্রাবের পর সর্বদা পানি দ্বারা শৌচকার্য করতাম অথবা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতাম তাহলে তা আমার উম্মাতের জন্য আবশ্যক হয়ে যেত এবং এ বিষয়ে যে অবকাশ রয়েছে তা বন্ধ হয়ে যেত। কেউ কেউ বলেছেনঃ এর অর্থ, যদি আমি এরূপ করতাম তবে তা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায় পরিণত হতো।
‘আল্লামা মা'নাবী (রহঃ) বলেছেনঃ হাদীসে উযূ দ্বারা প্রস্রাবের পর প্রয়োজন ছাড়াই পানি দ্বারা ইসতিনজা (ইস্তিঞ্জা/ইস্তেঞ্জা/ইসতেনজা) অর্থ গ্রহণ কোন বাহ্যিকের বিপরীত। এর বাহ্যিক অর্থ শার‘ঈ উযূ যা ‘উমার (রাঃ) উদ্দেশ্য নিয়েছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রস্রাবের ফলে উযূ নষ্ট হওয়ায় তিনি এ পানি দ্বারা উযূ করবেন। কিন্তু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৈধতা এবং উম্মাতের প্রতি সহজকরণার্থে তা করেননি।