পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৭-[২৪] যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এসব পায়খানার স্থান হচ্ছে (জিন্ ও শায়ত্বনের (শয়তানের)) উপস্থিতির স্থান। সুতরাং তোমাদের যারা পায়খানায় যাবে তারা যেন এ দু’আ পড়েঃ ’’আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাল খুবুসি ওয়াল খবা-য়িস’’- (অর্থাৎ- আমি নাপাক নর-নারী শায়ত্বন (শয়তান) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই)। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْخَلَاءَ فَلْيَقُلْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبْثِ والخبائث . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: الْحُشُوْشَ (আল হুশূশ্) এর আসল অর্থ ঘন গাছে আচ্ছাদিত খেজুর বাগন। গৃহে পায়খানা নির্মাণের পূর্বে তারা সেখানে গিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক প্রয়োজন পূরণ করতো। পরবর্তীতে এটি টয়লেট অর্থে ব্যবহৃত হয়। পায়খানা-প্রস্রাবের স্থানসমূহে জিন্ ও শায়ত্বনরা উপস্থিত হয়ে আদম সন্তানের ক্ষতিসাধন করতে। কারণ ঐ সকল স্থানে আল্লাহর স্মরণ পরিত্যাগ করে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করা হয়। ফলে অন্যস্থানের চেয়ে সে সকল স্থানে বেশি ক্ষতি সাধন সম্ভব হয়। এজন্যেই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্থানে জিন্ শায়ত্বন (শয়তান) হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।