৩৩৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব

৩৩৭-[৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় গেলে বলতেনঃ ’’আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খবা-য়িস’’- [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট নর ও নারী শয়তানদের (ক্ষতি সাধন) থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।] (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ اَدَابِ الْخَلَاءِ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخبث والخبائث»

وعن انس قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا دخل الخلاء يقول: «اللهم اني اعوذ بك من الخبث والخباىث»

ব্যাখ্যা: (إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ) ‘‘যখন কেউ পায়খানায় প্রবেশ করবে’’, অর্থাৎ- প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের স্থানে প্রবেশের মনস্থ করবে তখন সে যেন এ দু‘আটি পাঠ করে। তবে এটি (দু‘আ পাঠ) প্রাচীর বিশিষ্ট টয়লেটের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নয়, বরং এর হুকুমটি এমনকি কেউ যদি গৃহের কোণে পাত্রে পেশাব করে তখনও পেশাব আরম্ভ করার পূর্বে দু‘আ পাঠ করতে হবে। অতএব প্রাচীরবিশিষ্ট টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে দু‘আ পাঠ করতে হবে। অতএব প্রাচীরবিশিষ্ট টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে আর এ ছাড়া অন্য স্থানে প্রয়োজন পূরণের শুরুতে তথা কাপড় উপরে তোলার সময় দু‘আ বলবে। কেউ ভুলে গেলে মনে মনে পড়ে নেবে, উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই।

قوله (اَللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ) ‘‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অনিষ্ট সাধনকারী পুরুষ মহিলা জিন্ শায়ত্বন (শয়তান) হতে আশ্রয় চাচ্ছি।’’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসত্ব প্রকাশার্থে দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতেন এবং উম্মাতকে শিক্ষাদানের উদ্দেশে তা উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করতেন। خُبُثِ (খুবুস) অর্থ অনিষ্ট সাধনকারী পুরুষ জিন্-শায়ত্বন (শয়তান) আর خَبَائِثْ (খবা-য়িস) অর্থ মহিলা।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)