২৮৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২৮৮-[৮] ’উক্ববাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মুসলিম উযূ করে এবং উত্তমরূপে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে, অতঃপর দাঁড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে (অন্তর ও দেহ সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর দিকে রুজু করে) দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْلأَوَّلُ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مقبل عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن عقبة بن عامر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مسلم يتوضا فيحسن وضوءه ثم يقوم فيصلي ركعتين مقبل عليهما بقلبه ووجهه الا وجبت له الجنة رواه مسلم

ব্যাখ্যা: হাদীসটি থেকে প্রতীয়মান হয়, যে ব্যক্তি ভালোভাবে উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করার পর অন্তরে আল্লাহর ভয় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিনয়-নম্রতার ভাব রেখে দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা আবশ্যক হয়ে যাবে। হাদীসটিতে জান্নাতে প্রবেশের বিষয়টি মুতলাক্ব বা ‘আম্ নয়, কারণ ‘আমভাবে জান্নাতে প্রবেশের বিষয়টি কেবল ঈমানের বিনিময়েই সম্ভব আর হাদীসে সালাতের মাধ্যমে যে জান্নাতে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে তা কবূল হওয়ার পূর্ব শর্তই হচ্ছে এ ঈমান। বিবেচনায় ঈমান ব্যক্তির প্রথম ধাপ আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম ধাপে থাকার কারণে যদি জান্নাতে প্রবেশ করা যায় তাহলে দ্বিতীয় ধাপ থাকার কারণে আরো ভালোভাবে প্রবেশ করা যাবে। আর আমরা জানি ঈমান থাকলে ব্যক্তি তার অপরাধের শাস্তি পাওয়ার পর কোন একদিন জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর উভয় ধাপ ঠিক থাকলে সে প্রথমবারে শাস্তি ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে।

অতএব আমরা বলতে পারি, হাদীসে জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার দ্বারা প্রথমবারে জান্নাতে প্রবেশকে উদ্দেশ করা হয়েছে। আর তা কাবীরাহ্ (কবিরা) ও সগীরাহ্ সকল গুনাহ ক্ষমা হওয়ার উপর নির্ভরশীল বরং এরপর আরো যা কিছু পাপ ব্যক্তি করবে তাও ক্ষমা করে দেয়া হবে। তবে শর্তারোপ এই করা হয়েছে যে, তার মরণ ভালো ‘আমল বা ঈমানের উপর হতে হবে। মূলত আল্লাহ তার অনুগ্রহে বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, তিনি তার ওয়া‘দা ভঙ্গ করেন না। হাদীসটিতে ভালোভাবে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে ও তারপর দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং হাদীসটি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের দিকে ইশারা করছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)