৬৩০৫

পরিচ্ছেদঃ ৪১. জাফর ইবনু আবূ তালিব, আসমা বিনতু উমায়স ও তাদের নৌ সফর-সঙ্গীদের ফযীলত

৬৩০৫-(.../২৫০৩) রাবী [’আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ আশ’আরী (রহঃ)] বলেন, অতঃপর আমাদের নৌকায় সফর সঙ্গিনী আসমা বিনতু উমায়স (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী হাফসাহ (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হন। যারা নাজাশীর নিকট হিজরত করেছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের একজন। ইত্যবসরে উমার (রাযিঃ) হাফসার নিকট আসলেন। তখন আসমা বিনতু উমায়স (রাযিঃ) তার নিকট উপস্থিত ছিলেন। তখন উমার (রাযিঃ) আসমাকে দেখে বললেন, ইনি কে? হাফসাহ (রাযিঃ) বললেন, তিনি আসমা বিনতু উমায়স। উমার (রাযিঃ) বললেন, "ইনিই কি হাবশায় হিজরতকারিণী, নৌকায় আরোহণকারিণী?" তখন আসমা (রাযিঃ) বললেন, জ্বি হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন, হিজরতের দৃষ্টিকোণে আমরা তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী।

অতএব তোমাদের চেয়ে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্বন্ধে বেশি হকদার। তখন আসমা (রাযিঃ) রাগান্বিত স্বরে বললেন, হে উমার! কথাটি সঠিক নয়। কক্ষনো সঠিক হতে পারে না। আল্লাহর শপথ! তোমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলে। তিনি তোমাদের ক্ষুধার্তদের খাবার দান করতেন, অজ্ঞদের জ্ঞানের আলো বিতরণ করতেন। আর আমরা আবিসিনিয়ায় প্রবাসে বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অবস্থান করছিলাম। এটা শুধু আল্লাহ ও তার রসূলের সান্নিধ্য লাভের জন্যই। আল্লাহর শপথ! তুমি যা বলেছ তা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আলোচনা না করা পর্যন্ত আমি কোন খাবার খাব না এবং পানীয় দ্রব্যও ছুইবো না।

আমরা (বিদেশ বিভুঁইয়ে) সার্বক্ষণিক বিপদ ও ভয়ভীতির মাঝে দিনাতিপাত করতাম। আমি ব্যাপারটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উত্থাপন করব এবং প্রশ্ন করব। আল্লাহর শপথ আমি মিথ্যাচার করব না, বিপথগামীও হব না এবং প্রকৃত ঘটনার চেয়ে বাড়িয়েও কিছু বলব না। রাবী বলেন, যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন তখন আসমা (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! উমর (রাযিঃ) এই এই বলেছেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার প্রতি তোমাদের তুলনায় তার হক অধিক নেই। কারণ, তার ও তার সঙ্গীদের জন্য আছে কেবল একটি হিজরত। আর তোমাদের নৌকারোহীদের জন্য আছে দু’টি হিজরত।

তিনি আসমা (রাযিঃ) বলেন, আমি আবূ মূসা (রাযিঃ) ও নৌকারোহীদের দলবেঁধে এসে আমার নিকট এ হাদীসটি প্রশ্ন করতে দেখেছি। তাদের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তাদের নিকট এর চেয়ে বেশি আনন্দদায়ক এবং বড় ও মহৎ কোন ব্যাপার দুনিয়াতে ছিল না। আবূ বুরদাহ (রাযিঃ) বলেন যে, আসমা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি আবূ মূসা (রাযিঃ) কে দেখেছি, তিনি আমার নিকট হতে এ হাদীসটি আনন্দের আতিশয্যে বারবার শুনতে চাইতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬১৮৫, ইসলামিক সেন্টার ৬২২৯)

باب مِنْ فَضَائِلِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ وَأَهْلِ سَفِينَتِهِمْ رضي الله عنهم

قَالَ فَدَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ - وَهِيَ مِمَّنْ قَدِمَ مَعَنَا - عَلَى حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَائِرَةً وَقَدْ كَانَتْ هَاجَرَتْ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِيمَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِ فَدَخَلَ عُمَرُ عَلَى حَفْصَةَ وَأَسْمَاءُ عِنْدَهَا فَقَالَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَسْمَاءَ مَنْ هَذِهِ قَالَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ الْحَبَشِيَّةُ هَذِهِ الْبَحْرِيَّةُ هَذِهِ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ فَنَحْنُ أَحَقُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْكُمْ ‏.‏ فَغَضِبَتْ وَقَالَتْ كَلِمَةً كَذَبْتَ يَا عُمَرُ كَلاَّ وَاللَّهِ كُنْتُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُطْعِمُ جَائِعَكُمْ وَيَعِظُ جَاهِلَكُمْ وَكُنَّا فِي دَارِ أَوْ فِي أَرْضِ الْبُعَدَاءِ الْبُغَضَاءِ فِي الْحَبَشَةِ وَذَلِكَ فِي اللَّهِ وَفِي رَسُولِهِ وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَطْعَمُ طَعَامًا وَلاَ أَشْرَبُ شَرَابًا حَتَّى أَذْكُرَ مَا قُلْتَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ كُنَّا نُؤْذَى وَنُخَافُ وَسَأَذْكُرُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَسْأَلُهُ وَوَاللَّهِ لاَ أَكْذِبُ وَلاَ أَزِيغُ وَلاَ أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ عُمَرَ قَالَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيْسَ بِأَحَقَّ بِي مِنْكُمْ وَلَهُ وَلأَصْحَابِهِ هِجْرَةٌ وَاحِدَةٌ وَلَكُمْ أَنْتُمْ أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ يَأْتُونِي أَرْسَالاً يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ مَا مِنَ الدُّنْيَا شَىْءٌ هُمْ بِهِ أَفْرَحُ وَلاَ أَعْظَمُ فِي أَنْفُسِهِمْ مِمَّا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو بُرْدَةَ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَإِنَّهُ لَيَسْتَعِيدُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنِّي ‏.‏

قال فدخلت اسماء بنت عميس - وهي ممن قدم معنا - على حفصة زوج النبي صلى الله عليه وسلم زاىرة وقد كانت هاجرت الى النجاشي فيمن هاجر اليه فدخل عمر على حفصة واسماء عندها فقال عمر حين راى اسماء من هذه قالت اسماء بنت عميس ‏.‏ قال عمر الحبشية هذه البحرية هذه فقالت اسماء نعم ‏.‏ فقال عمر سبقناكم بالهجرة فنحن احق برسول الله صلى الله عليه وسلم منكم ‏.‏ فغضبت وقالت كلمة كذبت يا عمر كلا والله كنتم مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يطعم جاىعكم ويعظ جاهلكم وكنا في دار او في ارض البعداء البغضاء في الحبشة وذلك في الله وفي رسوله وايم الله لا اطعم طعاما ولا اشرب شرابا حتى اذكر ما قلت لرسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن كنا نوذى ونخاف وساذكر ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم واساله ووالله لا اكذب ولا ازيغ ولا ازيد على ذلك ‏.‏ قال فلما جاء النبي صلى الله عليه وسلم قالت يا نبي الله ان عمر قال كذا وكذا ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ليس باحق بي منكم وله ولاصحابه هجرة واحدة ولكم انتم اهل السفينة هجرتان ‏"‏ ‏.‏ قالت فلقد رايت ابا موسى واصحاب السفينة ياتوني ارسالا يسالوني عن هذا الحديث ما من الدنيا شىء هم به افرح ولا اعظم في انفسهم مما قال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو بردة فقالت اسماء فلقد رايت ابا موسى وانه ليستعيد هذا الحديث مني ‏.‏


Asma' bint 'Umais who had migrated to Abyssinia and had come back along with them (along with immigrants) visited Hafsa, the wife of Allah's Apostle (ﷺ). (Accordingly), Umar had been sitting with her (Hafsa). As 'Umar saw Asma, he said: Who is she? She (Hafsa) said: She is Asma, daughter of 'Umais. He said: She is an Abyssinian and a sea-woman. Asma said: Yes, it is so. Thereupon 'Umar said: We preceded you in migration and so we have more right to Allah's Messenger (ﷺ) as compared with you. At this she felt annoyed and said: 'Umar, you are not stating the fact; by Allah, you had the privilege of being in the company of the Messenger (ﷺ) who fed the hungry among you and instructed the ignorant amongst you, whereas we had been far (from here) in the land of Abyssinia amongst the enemies and that was all for Allah and Allah's Messenger (ﷺ) and, by Allah, I would never take food nor take water unless I make a mention to Allah's Messenger (ﷺ) of what you have said. We remained in that country in constant trouble and dread and I shall talk about it to Allah's Messenger (way peace be upon him) and ask him (about it). By Allah, I shall not tell a lie and deviate (from the truth) and add anything to that. So, when Allah's Apostle (ﷺ) came, she said: Allah's Apostle, 'Umar says so and so. Upon this Allah's Messenger (ﷺ) said: His right is not more than yours, for him and his companions there is one migration, but for you, i. e. for the people of the boat, there are two migrations. She said: I saw Abu Musa and the people of the boat coming to me in groups and asking me about this hadith, because there was nothing more pleasing and more significant for them than this. Abu Burda reported that Asma said: I saw Abu Musa, asking me to repeat this hadith to him again and again.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৫। সাহাবা (রাযিঃ) গণের ফজিলত [মর্যাদা] (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)