৬১৩২

পরিচ্ছেদঃ ৫. সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) এর ফযীলত

৬১৩২-(৪৩/১৭৪৮) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... মুসআব ইবনু সা’দ (রাযিঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণিত যে, তার সম্বন্ধে কুরআনের কতক আয়াত নাযিল হলো। তার মা কসম করে ফেলেছে যে, তিনি ইসলামকে যতক্ষণ অস্বীকার না করবেন ততক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা বলবে না, খাবেও না, পানও করবে না। সে বলল, আল্লাহ তা’আলা তোকে নির্দেশ করেছেন, পিতা-মাতার কথা মেনে চলতে। আর আমি তোর মা। আমি তোকে এ আদেশ করছি। মা তিন দিন পর্যন্ত কোন খাদ্য গ্রহণ করল না। যাতনায় সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ’উমারাহ নামক তার এক পুত্র তাকে পানি পান করাল। মা সা’দের উপর বদদুআ করতে লাগল। তখন আল্লাহ তা’আলা কুরআন মাজীদে এ আয়াত নাযিল করলেনঃ “আমি মানুষকে আদেশ করেছি তার পিতামাতার প্রতি উত্তম আচরণ করতে। তবে ওরা যদি তোমার উপর শক্তি প্রয়োগ করে আমার সঙ্গে এমন কিছু শারীক করতে যার সম্বন্ধে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তুমি তাদের আনুগত্য করো না”— (সূরাহ্‌ আল আনকাবূত ২৯ঃ ৮)। “আর পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সম্ভাবে বসবাস করবে”- (সূরা আল লুকমান ৩১ঃ ১৫)।

সা’দ বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বিপুল সংখ্যক যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আসলো। এতে একটি তরবারিও ছিল। আমি সেটা নিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললাম, এ তরবারিটি আমাকে দিন। আর আমার অবস্থা কি তা আপনি জানেনই। তিনি বললেন, এটা যেখান থেকে নিয়েছো সেখানেই রেখে দাও। আমি গেলাম এবং ইচ্ছে করলাম যে, এটাকে ভাণ্ডারে রেখে দেই; কিন্তু আমার মন আমাকে বঞ্চনা করল। অমনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফিরে আসলাম। বললাম, আমায় এটা দান করুন। তিনি উচ্চস্বরে বললেন, এটা যেখান থেকে এনেছো সেখানে রেখে দাও। তখন আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেনঃ “তারা আপনাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে"- (সূরা আল আনফাল ৮ঃ ১)। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ বিধায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আসতে বললাম, তিনি আসলেন। আমি বললাম, আমাকে অনুমতি দান করুন, আমি যাকে ইচ্ছা তাকে আমার ধন-সম্পদ ভাগ করে দিয়ে দেই। তিনি অস্বীকার করলেন। আমি বললাম, তবে অর্ধেক ধন-সম্পদ দিয়ে দেই। তিনি তাও স্বীকৃতি দিলেন না। আমি বললাম, তবে তবে এক তৃতীয়াংশ সম্পদই দিয়ে দেই। তিনি চুপ হয়ে রইলেন। পরবর্তীতে এক তৃতীয়াংশ ধন-সম্পদ দান করাই অনুমোদিত হলো।

সা’দ বলেন, একবার আমি আনসার ও মুহাজিরদের কতিপয় ব্যক্তির নিকট গেলাম। তারা আমাকে বলল, এসো তোমায় আমরা আহার করাব এবং মদ পান করাব। এ ঘটনা মদ হারাম হওয়ার পূর্বের। আমি তাদের নিকট একটি বাগিচায় গেলাম। সেখানে উটের মাথার মাংস ভুনা হয়েছিল আর মদের একটা মশক ছিল। আমি তাদের সাথে মাংস খেলাম এবং মদ পান করলাম। সেখানে মুহাজির ও আনসারগন আলোচনা কালে আমি বললাম, মুহাজিররা আনসারদের তুলনায় উত্তম। এক ব্যক্তি মাথার একটি হাড় দিয়ে আমাকে আঘাত করল। আমার নাকে যখম হয়ে গেল। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা উল্লেখ করলাম। তখন আল্লাহ তা’আলা আমার সম্বন্ধে আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ "মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তু যা শাইতানের কাজ"- (সূরা আল-ময়িদাহ ৫ঃ ৯০)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০২০, ইসলামিক সেন্টার ৬০৫৮)

باب فِي فَضْلِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ رضى الله عنه ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ نَزَلَتْ فِيهِ آيَاتٌ مِنَ الْقُرْآنِ - قَالَ - حَلَفَتْ أُمُّ سَعْدٍ أَنْ لاَ تُكَلِّمَهُ أَبَدًا حَتَّى يَكْفُرَ بِدِينِهِ وَلاَ تَأْكُلَ وَلاَ تَشْرَبَ ‏.‏ قَالَتْ زَعَمْتَ أَنَّ اللَّهَ وَصَّاكَ بِوَالِدَيْكَ وَأَنَا أُمُّكَ وَأَنَا آمُرُكَ بِهَذَا ‏.‏ قَالَ مَكَثَتْ ثَلاَثًا حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهَا مِنَ الْجَهْدِ فَقَامَ ابْنٌ لَهَا يُقَالُ لَهُ عُمَارَةُ فَسَقَاهَا فَجَعَلَتْ تَدْعُو عَلَى سَعْدٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْقُرْآنِ هَذِهِ الآيَةَ ‏(‏ وَوَصَّيْنَا الإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا‏)‏ ‏(‏ وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي‏)‏ وَفِيهَا ‏(‏ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا‏)‏ قَالَ وَأَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَنِيمَةً عَظِيمَةً فَإِذَا فِيهَا سَيْفٌ فَأَخَذْتُهُ فَأَتَيْتُ بِهِ الرَّسُولَ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ نَفِّلْنِي هَذَا السَّيْفَ فَأَنَا مَنْ قَدْ عَلِمْتَ حَالَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ رُدُّهُ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى إِذَا أَرَدْتُ أَنْ أُلْقِيَهُ فِي الْقَبَضِ لاَمَتْنِي نَفْسِي فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ أَعْطِنِيهِ ‏.‏ قَالَ فَشَدَّ لِي صَوْتَهُ ‏"‏ رُدُّهُ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنْفَالِ‏)‏ قَالَ وَمَرِضْتُ فَأَرْسَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَانِي فَقُلْتُ دَعْنِي أَقْسِمْ مَالِي حَيْثُ شِئْتُ ‏.‏ قَالَ فَأَبَى ‏.‏ قُلْتُ فَالنِّصْفَ ‏.‏ قَالَ فَأَبَى ‏.‏ قُلْتُ فَالثُّلُثَ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ فَكَانَ بَعْدُ الثُّلُثُ جَائِزًا ‏.‏ قَالَ وَأَتَيْتُ عَلَى نَفَرٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرِينَ فَقَالُوا تَعَالَ نُطْعِمْكَ وَنَسْقِيكَ خَمْرًا ‏.‏ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ - قَالَ - فَأَتَيْتُهُمْ فِي حَشٍّ - وَالْحَشُّ الْبُسْتَانُ - فَإِذَا رَأْسُ جَزُورٍ مَشْوِيٌّ عِنْدَهُمْ وَزِقٌّ مِنْ خَمْرٍ - قَالَ - فَأَكَلْتُ وَشَرِبْتُ مَعَهُمْ - قَالَ - فَذُكِرَتِ الأَنْصَارُ وَالْمُهَاجِرُونَ عِنْدَهُمْ فَقُلْتُ الْمُهَاجِرُونَ خَيْرٌ مِنَ الأَنْصَارِ - قَالَ - فَأَخَذَ رَجُلٌ أَحَدَ لَحْيَىِ الرَّأْسِ فَضَرَبَنِي بِهِ فَجَرَحَ بِأَنْفِي فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيَّ - يَعْنِي نَفْسَهُ - شَأْنَ الْخَمْرِ ‏(‏ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنْصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ‏)‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وزهير بن حرب، قالا حدثنا الحسن بن موسى، حدثنا زهير، حدثنا سماك بن حرب، حدثني مصعب بن سعد، عن ابيه، انه نزلت فيه ايات من القران - قال - حلفت ام سعد ان لا تكلمه ابدا حتى يكفر بدينه ولا تاكل ولا تشرب ‏.‏ قالت زعمت ان الله وصاك بوالديك وانا امك وانا امرك بهذا ‏.‏ قال مكثت ثلاثا حتى غشي عليها من الجهد فقام ابن لها يقال له عمارة فسقاها فجعلت تدعو على سعد فانزل الله عز وجل في القران هذه الاية ‏(‏ ووصينا الانسان بوالديه حسنا‏)‏ ‏(‏ وان جاهداك على ان تشرك بي‏)‏ وفيها ‏(‏ وصاحبهما في الدنيا معروفا‏)‏ قال واصاب رسول الله صلى الله عليه وسلم غنيمة عظيمة فاذا فيها سيف فاخذته فاتيت به الرسول صلى الله عليه وسلم فقلت نفلني هذا السيف فانا من قد علمت حاله ‏.‏ فقال ‏"‏ رده من حيث اخذته ‏"‏ ‏.‏ فانطلقت حتى اذا اردت ان القيه في القبض لامتني نفسي فرجعت اليه فقلت اعطنيه ‏.‏ قال فشد لي صوته ‏"‏ رده من حيث اخذته ‏"‏ ‏.‏ قال فانزل الله عز وجل ‏(‏ يسالونك عن الانفال‏)‏ قال ومرضت فارسلت الى النبي صلى الله عليه وسلم فاتاني فقلت دعني اقسم مالي حيث شىت ‏.‏ قال فابى ‏.‏ قلت فالنصف ‏.‏ قال فابى ‏.‏ قلت فالثلث ‏.‏ قال فسكت فكان بعد الثلث جاىزا ‏.‏ قال واتيت على نفر من الانصار والمهاجرين فقالوا تعال نطعمك ونسقيك خمرا ‏.‏ وذلك قبل ان تحرم الخمر - قال - فاتيتهم في حش - والحش البستان - فاذا راس جزور مشوي عندهم وزق من خمر - قال - فاكلت وشربت معهم - قال - فذكرت الانصار والمهاجرون عندهم فقلت المهاجرون خير من الانصار - قال - فاخذ رجل احد لحيى الراس فضربني به فجرح بانفي فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته فانزل الله عز وجل في - يعني نفسه - شان الخمر ‏(‏ انما الخمر والميسر والانصاب والازلام رجس من عمل الشيطان‏)‏


Mus'ab b. Sa'd reported on the authority of his father that many verses of the Qur'an had been revealed in connection with him. His mother Umm Sa'd had taken oath that she would never talk with him until he abandoned his faith and she neither ate nor drank and said:
Allah has commanded you to treat well your parents and I am your mother and I command you to do this. She passed three days in this state until she fainted because of extreme hunger and at that time her son whose name was Umara stood up and served her drink and she began to curse Sa'd that Allah, the Exalted and Glorions, revealed these verses of the Holy Qur'an:" And We have enjoined upon a person goodness to his parents but if they contend with thee to associate (others) with Me of which you have no knowledge, then obey them not" (xxix. 8) ; Treat thein with customary good in this world" (xxxi. 15). He also reported that there fell to the lot of Allah's Messenger (ﷺ) huge spoils of war and there was one sword in them. I picked that up and came to Allah's Messenger (ﷺ) and said: Bestow this sword upon me (as my share in the spoils of war) and you know my state. Thereupon he said: Return it to the place from where you picked it up. I went back until I decided to throw it in a store but my soul repulsed me so I came back and asked him to give that sword to me. He said in a loud voice to return it to the place from where I had picked it up. It was on this occasion that this verse was revealed:" They asked about the spoils of war" (viii. 1). He further said: I once fell ill and sent a message to Allah's Apostle (ﷺ). He visited me and I said to him: Permit me to distribute (in charity) my property as much as I like. He did not agree. I said: (Permit me to distribute) half of it. He did not agree. I said: (Permit me to distribute) the third part, whereupon he kept quiet and it was after this (that the distribution of one's property in charity) to the extent of one-third was held valid. He further said: I came to a group of persons of the Ansir and Muhajirin and they said: Come, so that we may serve you wine, and it was before the use of wine had been prohibited. I went to them in a garden and there had been with them the roasted head of a camel and a small water-skin containing wine. I ate and drank along with them and there came under discussion the Ansr (Helpers) and Muhajirin (immigrants). I said: The immigrants are better than the Ansar, that a person picked up a portion of the head (of the camel and struck me with it that my nose was injured. I came to Allah's Messenger (ﷺ) and informed him of the situation that Aliah, the Exalted and Glorious, revealed verses pertaining to wine:" Intoxicants and the games of chance and (sacrificing to) stones set up and (divining by) arrows are only an uncleanliness, the devil's work" (v. 90).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৫। সাহাবা (রাযিঃ) গণের ফজিলত [মর্যাদা] (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)